শেষবার ২০১৪ ব্রাজিল বিশ্বকাপে দেখা দিয়েছিল তাদের। সেবার সেমি-ফাইনালে অরেঞ্জ-ব্রিগেডের দৌড় থামিয়ে দিয়েছিল লিও মেসির আর্জেন্তিনা। তারপর ২০১৬ ইউরো ও ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপে যোগ্যতা অর্জনে ব্যর্থ হয় তারা। এই পর্বে ফুটবলকে বিদায় জানান আর্জেন রবেন, রবিন ফন পার্সির মতো তারকারা। তবে তরুণ প্রজন্মের হাত ধরে ফের একবার ইউরোপের মূলস্রোতে ফেরে ডাচরা।
advertisement
ফ্র্যাঙ্কি ডে জং, মেম্ফিস ডিপেদের উপস্থিতিতে এবারের ইউরো কাপের অন্যতম ডার্ক হর্স হিসেবে দেখা হচ্ছে ১৯৮৮’র চ্যাম্পিয়নদের। আর প্রথম ম্যাচ থেকেই নিজেদের মেলে ধরার ব্যাপারে আশাবাদী ফ্র্যাঙ্ক ডে বোয়ের দল। তুলনামূলক সহজ গ্রুপে এবারের ইউরো অভিযান শুরু করছে নেদারল্যান্ডস। যদিও কোনও প্রতিপক্ষকেই হাল্কাভাবে নিতে নারাজ ডে জং-ডি লিটরা।
চোটের জেরে এবারের ইউরো কাপে নেই দলের রক্ষণের অন্যতম ভরসা ভার্জিল ফন ডিক। তাঁর অনুপস্থিতিতে রক্ষণের দায়িত্ব সামলাবেন ডি লিট। মিডফিল্ড অঞ্চলের রিমোট থাকবে ডি জংয়ের পায়ে। গত দু’বছর বার্সেলোনায় খেলে অনেকটাই পরিণত এই তরুণ মিডিও। দেশের জার্সিতেও নিজেকে প্রমাণ করতে মরিয়া তিনি। আর বিশেষজ্ঞদের বাড়তি নজর থাকবে মেম্ফিস ডিপের উপর। নিজেদের শেষ দুটো ম্যাচে স্কটল্যান্ড এর বিরুদ্ধে ২-২ ড্র এবং জর্জিয়াকে ৩-০ হারিয়েছে ডাচরা।
অন্যদিকে দুর্দান্ত ছন্দে রয়েছে ইউক্রেন। উত্তর আয়ারল্যান্ডকে হারানোর পর সাইপ্রাসের বিরুদ্ধে ৪-০ জয় পেয়েছে তাঁরা। ইয়ারমলেনকো, ইরেমচুক, জিনচেনকো ছন্দে রয়েছেন। দলটা প্রচন্ড দৌড়াতে পারে। দলের ম্যানেজার শেভচেনকও নিজের সময় ইউরোপের অন্যতম সেরা স্ট্রাইকার ছিলেন। তাই দলকে আক্রমনাত্মক খেলাতেই পছন্দ করেন তিনি। ম্যাচে অভিজ্ঞতা এবং ঐতিহ্যের দিক থেকে নেদারল্যান্ডস এগিয়ে থাকলেও, ইউক্রেইন সহজে ছেড়ে দেবে না। তাই একটা জমজমাট ম্যাচ দেখার অপেক্ষায় ফুটবলপ্রেমীরা।