ম্যাচের শুরুতেই চোট পেয়ে উঠে গেলেন লাল-হলুদ ডিফেন্সের ভরসা ড্যানি ফক্স। এখানেই রবি ফাওলারের অর্ধেক প্ল্যান ঘেঁটে যায়। পরিবর্ত হিসেবে নামানো হয় মহম্মদ রফিককে। ম্যাচের কুড়ি মিনিটে প্রথম গোল হজম। রাওলিন বর্জেস নীচ থেকে একটা লম্বা বল বাড়ান। বাঁ দিক দিয়ে উঠে আসা হুগো বুমু সুরচন্দ্রকে গতিতে পরাস্ত করে বল নিয়ে ঢুকে পড়েন ইস্টবেঙ্গল বক্সে। নিজে শট না নিয়ে বাড়িয়ে দেন লে ফন্দ্রেকে। দেবজিতের কিচ্ছু করার ছিল না। ৪৮ মিনিটে বক্সের মধ্যে বুমুকে ফাউল করলে পেনাল্টি পায় মুম্বই। ২-০ করতে ভুল করেননি অ্যাডাম। দশ মিনিটের ব্যবধানে তৃতীয় গোল মুম্বইয়ের। ফ্রিকিক থেকে দারুণ বল বাড়ান যাহু। বুমু ডান পায়ে বলটা নামিয়ে দিলে হার্নান জোরালো শটে গোল করেন।
advertisement
ম্যাচে কখনওই লবেরার দলের সঙ্গে পেরে ওঠেনি ফাওলরের ছেলেরা। গতি, বোঝাপড়া, শক্তি সবদিক থেকেই এগিয়ে ছিল মুম্বই। বলবন্ত, জেজে সম্পূর্ণ ব্যর্থ। ডিফেন্সে স্কট নেভিল দিশা খুঁজে পেলেন না। সাইড ব্যাক নারায়ণ এবং ইরশাদ নিজেদের দায়িত্ব বুঝে উঠতে উঠতেই ম্যাচ বেরিয়ে গেল। মিডফিল্ডে ব্লকিং বলে কিছু ছিল না। রফিকের একটা শট ছাড়া বলার মতো কিছু নেই। মাগোমা এবং পিলকিংটন কিছুটা চেষ্টা করলেন, কিন্তু মুম্বই ঝড়ের সামনে সবকিছু খড়কুটোর মতো উড়ে গেল।
এইরকম অবস্থায় থাকলে আগামী দিনে আরও বিপদ অপেক্ষা করছে লাল-হলুদের জন্য। দলটা নতুন সত্যি। বোঝাপড়া গড়ে উঠতে সময় লাগবে। কিন্তু এটা টানা অজুহাত হতে পারে না। সবথেকে বড় কথা দলে কোনও পজিটিভ স্ট্রাইকার নেই৷ কবে আসবেন তাও অজানা৷ দ্রুত উন্নতি না হলে সবার নীচেই লিগ টেবিল শেষ করতে হবে ফাওলরের দলকে। ম্যাচের সেরা বুমু। তিনটে অ্যাসিস্ট এল তাঁর পা থেকে। এক কথায় বলতে গেলে বুমু এবং যাহু শেষ করে দিয়ে গেলেন ইস্টবেঙ্গলকে।
Rohan Roy Chowdhury