#কল্যাণী : কোথায় বিপ্লব! কোথায় প্রতিবাদ! সবুজ-মেরুন জার্সির টান। রবিবাসরীয় বিকেলে উপচে পড়লো কল্যাণী স্টেডিয়াম। চ্যাম্পিয়নশিপের টানটান মেজাজ নিয়েই হল মোহনবাগান বনাম পাঞ্জাব এফসি ম্যাচ। খেতাবের আরও কাছে পৌঁছে গেল কিবু ভিকুনার দল। কলকাতা লিগে থই না পাওয়া দলটাকে ঠিক সময়ে পিকে নিয়ে গেছেন কোচ কিবু ভিকুনা। দেশ এক হলেও আলেজন্দ্রোর সঙ্গে পার্থক্যটা এখানেই। একজনের নামের পাশে ছিল হাইপ্রোফাইল ক্লাবের তকমা। অন্যজন অখ্যাত পোলিশ ক্লাব ছেড়ে প্রতিষ্ঠার খোঁজে ছুটে এসেছিলেন গঙ্গা পাড়ে। দিনের শেষে কিবু নায়ক। আর আলেজন্দ্রো? থাক! যিনি বিদায় নিয়েছেন তার সম্পর্কে শব্দ খরচ নাই বা হল!
advertisement
কলকাতায় খেলে যাওয়া একগাদা চেনা নামের ভিড় ছিল প্রতিপক্ষ পাঞ্জাব এফসি-তে। কিংসলে, আনোয়ার, নির্মল, লোবো, সঞ্জু প্রধান এবং অবশ্যই ডিকা। বুদ্ধি করে দল সাজিয়ে ছিলেন বাগান কোচ। ডিকার জন্য পালা করে জোনাল মার্কিং-এ আসছিলেন মোরান্তে ও গঞ্জালেজ। মাঝমাঠে ভিড় বাড়িয়ে থামালেন প্রতিপক্ষের গেম মেকার লোবো ও জুনিয়রকে। অসম্ভব ওয়ার্কলোড নিলেন নাওরেম ও বেইতিয়া। নজর কাড়লেন তুরসভ। লড়াই করেও বশ্যতা স্বীকার করা ছাড়া উপায় ছিল না পঞ্জাব এফসি-র। ৪২ মিনিটে বুদ্ধিদীপ্ত গোল পাপা বাবাকর দিওয়ারার। স্কোরলাইন মোহনবাগান ১, পাঞ্জাব এফসি ০। ১১ ম্যাচে ২৬ পয়েন্টে পৌঁছে গেল মোহনবাগান।দ্বিতীয় স্থানে থাকা পঞ্জাবের থেকে ৯ পয়েন্টে এগিয়ে বাগান। কাশ্মীর, গোকুলাম, ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে পার্থক্যটা কোথাও ১১, কোথাও ১৫। অঘটন না ঘটলে আই লিগ এবার মোহনবাগানেই। ১১ দলের আই লিগে এখনো সব দলের অর্ধেক ম্যাচ বাকি।
আরও পড়ুন - নতুন বাড়ি কিনলেন সৌরভ, লন্ডনে দাদার নতুন ঠিকানা, দেখে নিন অ্যালবাম
কিন্তু বেইতিয়া, নাওরেমরা যে ছন্দে রয়েছেন তাতে লিগ খেতাব এবার সময়ের অপেক্ষা।পরের মরশুমে আইএসএল খেলবে মোহনবাগান। শেষ আই লিগে একচেটিয়া আধিপত্য রেখে খেতাব জয় নিঃসন্দেহে কৃতিত্বের। আই লিগ এখন ইস্টবেঙ্গল, কাশ্মীরের মত ক্লাবগুলোর কাছে রানার্স হওয়ার লড়াই। কোচ ফুটবলারদের পাশে কৃতিত্ব দাবি করতে পারেন বাগানের নতুন সচিব সৃঞ্জয় বোস ও চাণক্য দেবাশীষ দত্ত। মরশুম শুরুর মধ্যমেধার দলটাকে আসল সময়ে সোনার হরিণে বদলে দেওয়ার জন্য। ময়দানে শতবর্ষে দাঁড়ানো ক্লাবের ট্রফি শুন্য মরশুমে ভারত সেরার স্বীকৃতি ঢুকবে পড়শী ক্লাবে। সেটা কতটা সুখের! না কতটা যন্ত্রণার! সে তো সময় বলবে! তবে পরিস্থিতি যা, তাতে সময়ের আগেই খেতাব উঁকি মারছে গঙ্গা পাড়ের ক্লাবে। বাগানে বসন্ত এসে গেছে।
PARADIP GHOSH