ভারতসেরা হয়ে ১৫-র ডার্বিতে মোহনবাগান খেলতে নামলে সেটাও ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের জন্য সুখকর নয়। আগেই লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়ে গেলে গুরূত্ব কমবে ডার্বিরও। সব মিলিয়ে উভয়সঙ্কটে লাল-হলুদ। অন্যদিকে ঘরের মাঠে রিয়াল কাশ্মীর জয় পেলে খাতায়-কলমে লিগ এখনও ওপেন। বিলম্বিত হবে লিগ খেতাবের সবুজ-মেরুন যাত্রা। সোমবার শ্রীনগরে ইস্টবেঙ্গল-কাশ্মীর ম্যাচের দিকে তাই তাকিয়ে থাকবেন বাগান সমর্থকরাও।
advertisement
বাগানে লিগ ঢোকার দিনক্ষণ চূড়ান্ত হবে ইস্টবেঙ্গল বনাম রিয়াল কাশ্মীর ম্যাচেই। ১৫ ম্যাচে মোহনবাগান এখন দাঁড়িয়ে ৩৬ পয়েন্টে। রিয়াল কাশ্মীরের সংগ্রহ ১৪ ম্যাচে ২২ পয়েন্ট। সোমবার শ্রীনগরের টিআরসি স্টেডিয়ামে ইস্টবেঙ্গল জিতলে মঙ্গলবারই লিগের রং হয়ে যেতে পারে সবুজ-মেরুন। সেক্ষেত্রে মঙ্গলবার কল্যাণীতে আইজলকে হারালেই চ্যাম্পিয়ন মোহনবাগান। কিবু ভিকুনার দল পৌঁছে যাবে ৩৯ পয়েন্টে। ইস্টবেঙ্গল সোমবার কাশ্মীরকে হারালে বাকি পাঁচ ম্যাচ জিতলেও ৩৭ পয়েন্টের বেশি যেতে পারবে না রবার্টসনের দল। আর ইস্টবেঙ্গল-রিয়াল কাশ্মীর ড্র হলে কাশ্মীর পৌঁছবে সর্বোচ্চ ৩৮ পয়েন্টে। অর্থাৎ গল্প শেষ।
ইস্টবেঙ্গল-কাশ্মীর ম্যাচ নিয়ে লিগ টেবিলের পাশে আগ্রহ রয়েছে শ্রীনগরেও। কনকনে ঠাণ্ডাতেও সোমবার দুপুরে উপচে পড়বে টিআরসি স্টেডিয়াম। ইস্টবেঙ্গলের-কাশ্মীর ম্যাচ নিয়ে জোর প্রচারও চলছে ভূস্বর্গে। কাশ্মীরের তাপমাত্রা ঘোরাফেরা করছে পাঁচ-ছয় ডিগ্রির আশপাশে। ভূস্বর্গের পরিস্থিতি আপাতত স্বাভাবিক হলেও সেনাবাহিনীর ঘেরাটোপের মধ্যে থেকেই শনিবার অনুশীলন সারেন কোলাডো, জুয়ান মেরারা। রিয়াল কাশ্মীর-ইস্টবেঙ্গল ম্যাচ দিয়েই লাল-হলুদে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করছেন কোস্টারিকান বিশ্বকাপার জনি অ্যাকোস্টা। পনেরোর ডার্বির আগে এটাই শেষ ম্যাচ। তাই যুবভারতীতে মোহনবাগানকে সামলানোর স্টেজ রিহার্সালটাও সেরে রাখতে হবে কোচ মারিওকে। লাল-হলুদে লিগের পঞ্চত্ব প্রাপ্তি আগেই হয়েছে। শতবর্ষে মোহনবাগানকে হারানোই এখন পাখির চোখ লাল-হলুদে।
PARADIP GHOSH