এটিকে: ১ ( ব্রুনো- ৪৫+৩')
#জামশেদপুর: নোটবুক-টা প্রায় ফাঁকা রাখতে হয়েছিল ৩৩ মিনিট পর্যন্ত। লেখার জন্য তেমন উল্লেখযোগ্য কোনও ঘটনা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। ঠিক তখনই যেন প্রথমার্ধের তো বটেই চলতি আইএসএলের অন্যতম উল্লেখযোগ্য ঘটনাটা ঘটল। যা ঘটালেন এটিকে গোলেরক্ষক অরিন্দম ভট্টাচার্য। তখন ম্যাচের বয়স ৩৪ মিনিট। প্রণয় হালদার ফাউল করলেন বক্সের কিছুটা বাইরে। আর সেখান থেকেই গোল করলেন সার্জিও। বলা ভাল অরিন্দমের ভুলেই এটিকে গেল পিছিয়ে।
advertisement
যদিও ম্যাচের রাশটা রবিবার আগাগোড়া ছিল জামশেদপুরের হাতেই। গোলে শট কিংবা পাসের দিক থেকে এগিয়ে ছিলেন তাঁরাই। এটিকে গোল হজম করবার পর কপেলের মত ঠান্ডা মানুষও যেন ধৈর্য্য হারাচ্ছিলেন।
প্রতি আক্রমণে খেলা এটিকের প্রথম একাদশে ছিলেন না কালু উচে। বলবন্তকে সামনে রেখেই দল সাজিয়েছিলেন। মূলত তাদের লক্ষ্যটা যেন ছিল জামশেদপুরের খেলা নষ্ট করা। সৃষ্টিশীল কিছু চোখে পড়েনি।
রেফারি যখন ৩ মিনিট অতিরিক্ত সময় দিলেন। নোটবুকে আর একটা উল্লেখযোগ্য ঘটনা লিখতে হল। এবারও ঘটালেন সেই গোলরক্ষকই। তবে জামসেদপুরের। তাঁর আউটিং গ্রিপিং কিন্তু প্রশ্ন চিহ্ন রেখেই দিল। সেই ভুলেই তো এটিকে ম্যাচে সমতা ফেরায়। কর্ণার থেকে লাঞ্জার শট সরাসরি জালে জরিয়ে যায়। যা শুভাশিস এতটুকু আঁচও করতে পারেননি।
এগিয়ে গিয়েও এটিকে কে ম্যাচে ফেরার যেন একটা সুযোগ নিজেরাই করে দিয়েছিল জামসেদপুর। কিন্তু না। এটিকে আর সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারল কোথায় ? কোমল থাটালকে যেন এদিন বড়ই শান্ত দেখিয়েছে। তাঁকে তুলে জায়েশ-কে নামিয়ে একটা মরিয়া চেষ্টা করেছিলেন কপেল। তবে জামশেদপুরের শাসন জারি ছিল গোটা ম্যাচেই। তাঁদের দুই প্রান্ত দিয়ে আক্রমন, ছোট, বড় পাস। এত কিছু থাকা সত্ত্বেও গোল করতে তারা ব্যর্থ হয়। দলের তারকা টিম কাহিল ম্যাচের সবথেকে সহজ সুযোগটা নষ্ট করেন। নাহলে হয়ত ৬৩ মিনিটেই ম্যাচের ফলাফল হয়ে যেত। কালমানো, পাসসি, মরগাডোরা একের পর এক মাঠে আসেন। এই পরিবর্তনের ধারা দেখে বোঝা যাচ্ছিল ম্যাচ জিততে কতটা মরিয়া ছিলেন ফার্নান্দো
দুই টিমে এত বড় নাম এত চরিত্র থাকা সত্ত্বেও দুই গোলরক্ষকের 'সিলি-মিসটেক' কেই উল্লেখযোগ্য ঘটনা লিখতে হচ্ছে । তবে হ্যাঁ, আওয়ে ম্যাচে ১-১ গোলে ম্যাচ শেষ হওয়ায় নীতিগত জয়টা এটিকের-ই হল বলা যায়।