ওই সময় প্রমাণের অভাবে মামলাটি তুলে নেওয়া হয়েছিল। দুই বছর পর আবারও পর্তুগিজ সুপারস্টারের কাছে বিশাল অংকের টাকা দাবি করে বসলেন সেই নারী। সেই অর্থের পরিমাণ ৬৫ মিলিয়ন ইউরো। যা ভারতীয় মুদ্রায় ৬৬৫ কোটি টাকা! মায়োরগার আইনজীবী লেসলি স্টোভালে জানিয়েছেন ২০০৯ সালে জুনেলাস ভেগাসের পাম ক্যাসিনো রিসোর্টে ধর্ষণের শিকার হন মায়োরগা। রোনাল্ডো তাঁর সঙ্গে জোরপূর্বক বিকৃত যৌনমিলন করেন। এর ১০ বছর পর মামলা করেন মায়োরগা। সেই মামলা বাতিল হয়।
advertisement
তবে আইনজীবী লেসলি স্টোভালের দাবি, রোনাল্ডো ও মায়োরগা নাকি মৌখিকভাবেই ব্যাপারটা চুকিয়ে ফেলেছিলেন। সেইসঙ্গে মায়োরগার মুখ বন্ধ রাখতে তখন ৩ লাখ ৭৫ হাজার ডলার দিয়েছিলেন রোনালদো। এবার ৩৭ বছর বয়সী মায়োরগা সেই ঘটনায় 'অতীত-ভবিষ্যতের হয়রানি' এবং 'যন্ত্রণার ক্ষতিপূরণ' হিসেবে ৪১.৫ মিলিয়ন ইউরো দাবি করেছেন। এর পাশাপাশি দণ্ডমূলক ক্ষতিপূরণ হিসেবে আরও ২০.৫ মিলিয়ন ইউরো দাবি করেছেন। এর আগে ২০১৮ সালে ক্রিশ্চিয়ানো টুইটারে সব অস্বীকার করে জানান, 'ধর্ষণ হিসেবে যেসব অভিযোগ তোলা হয়েছে আমার বিরুদ্ধে, সেসব দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করছি। এসব ঘৃণ্য অপরাধ আমার বিশ্বাসের সঙ্গে যায় না। কেউ আমাকে ব্যবহার করে সংবাদমাধ্যমে নিজের কার্যসিদ্ধি করতে পারবে না।'
অতীতে জুভেন্তাসের পর্তুগিজ মহাতারকা ফুটবলার রোনাল্ডো স্বীকার করে নিয়েছিলেন তিনি ২০০৯ সালে লাস ভেগাসের হোটেলে ধর্ষণ কাণ্ডে মুখ বন্ধ রাখার জন্য ক্যাথেরিন মায়েরগাকে মোটা অর্থ দিয়েছিলেন। আদালতে এক নথি জমা দিয়ে রোনাল্ডোর আইনজীবী স্বীকার করে নেন তার বিশ্বসেরা ফুটবলার মক্কেল ক্যাথেরিন মায়েরগাকে মুখ বন্ধের জন্য অর্থ দিয়েছিলেন। আবার এই বাজারে হঠাৎ করেই উঠল সেই বিতর্ক। এখন দেখার রোনাল্ডো কী সাফাই দেন।