গ্রুপ পর্বের তিনটি ম্যাচেই প্রতিপক্ষকে কোণঠাসা করে জয় তুলে নিয়েছেন চারবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। ইতালি মানেই চোয়ালচাপা ডিফেন্স আর কাউন্টার অ্যাটাক নির্ভর ফুটবল। তবে সেই ঘরানা ভেঙে পুরোপুরি নতুনভাবে নিজেদের মেলে ধরেছেন চিয়েলিনি-বোনুচ্চিরা।
এখনও পর্যন্ত প্রতিযোগিতায় কোনও গোল হজম করেনি রবার্তো মানচিনি-ব্রিগেড। মনে হয়, ২০১৮ বিশ্বকাপে যোগ্যতা অর্জন করতে না পারায় ইতালিয়ানদের ফুটবল গরিমা কলঙ্কিত হয়েছিল। বিশ্ব ফুটবলকে একাধিক তারকা উপহার দিয়েছে ক্রিস্টোফার কলম্বাসের দেশ। প্রথম দু’টি বিশ্বকাপ জিতেছে ইতালি। অথচ সেই প্রতিযোগিতায় যোগ্যতা অর্জনে ব্যর্থতা কোথাও মেনে নিতে পারেনি আজ্জুরিরা। সেই আক্ষেপটাই এবারের ইউরো কাপ জিতে মেটাতে মরিয়া মানচিনির ছেলেরা।
advertisement
বর্তমান ইতালি দলে বেশিরভাগ খেলোয়াড়ই সিরি-এ’তে খেলেন। ফলে আত্মবিশ্বাসের অভাব নেই তাদের মধ্যে। এবারের টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই অন্যতম ফেভারিট হিসেবে অভিযান শুরু করেছিল ইতালি। গ্রুপ পর্বের শেষে সেই প্রত্যাশা আরও বেড়েছে। সব টুর্নামেন্ট মিলিয়ে গত দশটি ম্যাচে কোনও গোল হজম না করে জয় পেয়েছে আজ্জুরিরা। অপরাজিত রয়েছে টানা ৩০টি ম্যাচ। উল্লেখ্য, এর আগে ১৯৩৫-৩৯ সালে শেষবার তারা সর্বাধিক ৩০ ম্যাচ অপরাজিত ছিল। ফলে সোমবার সেই রেকর্ড ভাঙার সুযোগ রয়েছে মানচিনির দলের সামনে।
ইম্মোবাইল, লোকাতেল্লি, ইনসিগনেরা ধারাবাহিকভাবে গোল পাচ্ছেন। মাঝমাঠে বারেলা, জর্জিনহোরা ভরসা জোগাচ্ছেন। অব রক্ষণে বোনুচ্চি-চিয়েলিনির অভিজ্ঞতাই মূল সম্পদ এই ইতালি দলের। ধারে ও ভারে ইতালির চেয়ে অনেকটাই পিছিয়ে অস্ট্রিয়া। কিন্তু ফুটবলে অঘটন আজও ঘটে। অভিজ্ঞ মানচিনি তা নিশ্চয়ই জানেন। এই অস্ট্রিয়া দল যথেষ্ট শক্তিশালী। ভারসাম্যের অভাব নেই। অধিনায়ক ডেভিড আলাদা দীর্ঘদিন বায়ার্ন মিউনিখে খেলছে। চ্যাম্পিয়ন লিগ জয়ী দলের সদস্য। ফলে বড় মঞ্চে চাপ নেওয়ার ক্ষমতা তার রয়েছে।
পাশাপাশি গ্রুপ পর্বে ইউক্রেন ও নর্থ ম্যাসিডোনিয়াকে হারিয়ে শেষ ষোলোয় জায়গা পাকা করেছে অস্ট্রিয়া। তাই মোটেই হাল্কাভাবে নিলে চলবে না। তবে বলাই যায়, এই ম্যাচে অবিসংবাদিত ফেভারিট ইতালি। ম্যাচের আগে মানচিনি নিজের ফুটবলারদের অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসী না হয়ে ওঠার পরামর্শ দিয়েছেন। অস্ট্রিয়া ফিজিক্যাল ফুটবল খেলে ম্যাচটা অতিরিক্ত সময় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতে পারে।
ইতালি বনাম অস্ট্রিয়া
ম্যাচ শুরু - আজ রাত ১২:৩০