জয়ের হ্যাটট্রিক, শীর্ষে থেকে নকআউট পর্বে জায়গা নিশ্চিত করা। প্রায় রিজার্ভ বেঞ্চ খেলিয়ে ওয়েলসকে হারানো। শেষ ৩০ টি ম্যাচে অপরাজেয়। এমন রেকর্ড আন্তর্জাতিক দলের পক্ষে খুব বেশি দেখা যায় না। LA STAMPA, LA Repubblica, La Gazzetta dello Sport - দের মত প্রথম সারির ইতালিয়ান খবরের কাগজে বড় জায়গা জুড়ে স্থান পেয়েছে মানচিনি এবং তাঁর দলের কাহিনী। কেউ লিখেছেন স্বপ্নের মধ্যে আছে দেশের ফুটবল। কেউ বলছেন অবিশ্বাস্য উত্থান কাহিনী। কেউ বা মানচিনি এবং তাঁর ফুটবল বুদ্ধির প্রশংসায় মজে।
advertisement
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বসবাসকারী ইতালিয়ানরা স্বপ্ন দেখা শুরু করেছেন। ফ্রান্সিস্কো তত্তি, দেল পিয়েরও, ক্রিশ্চিয়ান ভিয়েরি, বাজিও, পিরলোদের ইতালি একটা সময় ফুটবল বিশ্ব শাসন করত। শেষবার ২০০৬ সালে বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার বছর কেউ ফেভারিটদের তালিকায় রাখেনি তাঁদের। ২০১২ ইউরো কাপের ফাইনালে স্পেনের কাছে ৪ গোলে হারতে হয়েছিল ইতালিকে। চার বছর পর ইউরো কাপে ছিটকে যেতে হয়েছিল জার্মানদের কাছে হেরে।
তাই এবার যেন সব কিছুর বদলা নিতে প্রস্তুত মানচিনির ছেলেরা। অভিজ্ঞ ম্যানেজার অবশ্য বেশি কথা বলতে নারাজ। দলের মধ্যে অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস সঞ্চার হতে দিতে চান না। এত পরিশ্রম করে ট্রফি জিততে না পারলে সবকিছুই মূল্যহীন। তাই প্রশংসা শুনে খুশি হওয়ার লোক নন মানচিনি। ফোকাস ঠিক রাখছেন একটা দিকেই।