গত দুই মরশুমে এই পুরস্কার হিসেবে সংশ্লিষ্ট দল পেয়েছে ৫০ লক্ষ টাকা। পুরস্কারের পাঁচটি ক্যাটেগরিতে পুরস্কারমূল্য়ে সামঞ্জস্য আনতে এবার লিগ শিল্ড উইনারের প্রাইজমানি আরও তিন কোটি টাকা বাড়িয়ে সাড়ে তিন কোটি করা হল। আইএসএলে লিগশীর্ষে থাকা দল এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে দেশের প্রতিনিধিত্ব করে থাকে। ২০১৯-২০ লিগশীর্ষে ছিল এফসি গোয়া। গতবার লিগশীর্ষ দখলের পাশাপাশি আইএসএল চ্যাম্পিয়নও হয় মুম্বই সিটি এফসি।
advertisement
আরও পড়ুন - DC vs RCB : এলিমিনেটরে কেকেআর চ্যালেঞ্জ সামলাতে প্রস্তুত বিরাটের আরসিবি
শিল্ড উইনারের পুরস্কারমূল্য তিন কোটি বাড়ানো হলেও চ্যাম্পিয়ন ও রানার-আপ দলের প্রাইজমানি কমানো হয়েছে। এবার থেকে চ্যাম্পিয়ন দল আট কোটির পরিবর্তে পাবে ৬ কোটি টাকা। রানার-আপ দল চার কোটি টাকার পরিবর্তে প্রাইজমানি হিসেবে পাবে ৩ কোটি টাকা। বাকি দুই সেমিফাইনালিস্ট পাবে দেড় কোটি টাকা করে। ফলে দেখাই যাচ্ছে ফাইনালের শেষে চ্যাম্পিয়ন ও রানার-আপের পুরস্কারমূল্য কমলেও আখেরে সব দলের কাছেই অন্যবারের চেয়ে বেশি পুরস্কারমূল্য জেতার হাতছানি থাকছে। আর তাতেই তীব্রতর হতে পারে প্রতিদ্বন্দ্বিতা।
লিগশীর্ষে থাকা দল সাড়ে তিন কোটি টাকা পাবে। সেই দল যদি চ্যাম্পিয়ন হয় তাহলে সবমিলিয়ে তারা পাবে সাড়ে ৯ কোটি টাকা। যদি লিগশীর্ষে থাকা দল ফাইনালে হেরে গিয়ে রানার-আপ হয় তাহলেও তারা সাড়ে ৬ কোটি টাকা পাবে। যদি লিগশীর্ষে থাকা দলকে তৃতীয় বা চতুর্থ স্থান পেয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয় তাহলেও তারা ন্যূনতম ৫ কোটি টাকা নিয়েই ফিরবে।
২০২১-২২ মরশুম থেকে প্রাইজমানি পুল বেড়ে হচ্ছে ১৫.৫ কোটি টাকা। এবারও গোয়াতেই হবে আইএসএলের সব ম্যাচ। ১৯ নভেম্বর ফতোরদার পণ্ডিত জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে আইএসএলের উদ্বোধন হবে এটিকে মোহনবাগান বনাম কেরালা ব্লাস্টার ম্যাচ দিয়ে। অর্থ মূল্য বেড়ে যাওয়ার ফলে খেলার মান বাড়ে কিনা সেটাই দেখতে হবে।