খাতায়-কলমে অনেকটাই এগিয়ে এটিকে-মোহনবাগান। সুসাইরাজ ও এডু গার্সিয়াকে চোটের কারণে না পাওয়া গেলেও, হাবাসের হাতে যারা রয়েছেন তাদের নিয়েই ম্যাচ বার করে নেওয়া যায় অনায়াসে। তবুও সাবধানের মার নেই। ধুঁকতে থাকা ওড়িশা এফসি-র বিরুদ্ধেও তাই রক্ষণ আঁটোসাঁটো করেই মাঠে নামছে এটিকে-মোহনবাগান। হাবাসের বরং মাথাব্যথার কারণ হতে পারেন ওড়িশা এফসি-র ব্রাজিলীয় স্ট্রাইকার জুটি মার্সেলিনহো ও মাউরিসিয়ো।এটিকে-মোহনবাগানের যেমন রয় কৃষ্ণা-ডেভিড উইলিয়ামস। ওড়িশার তেমন মার্সেলিনহো-মাউরিসিয়ো।
advertisement
ওড়িশার ডাগ-আউটে থাকবেন কোচ স্টুয়ার্ট উইলিয়ামস। হাবাসের বিরুদ্ধে স্টুয়ার্টের অতীতে পরিসংখ্যান ঈর্ষণীয়। ওড়িশার বিরুদ্ধে মাঠে নামার এটুকুই যা ভাবাচ্ছে সবুজ-মেরুন শিবিরকে। কলকতার দলে বাকিটা 'অল ইজ ওয়েল'।
কেরালা ব্লাস্টার্স ও ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে ম্যাচে জয় এসেছে। টুর্নামেন্ট শুরুর কেরালা ম্যাচের জড়তা সরিয়ে রেখে অ্যান্তোনিও লোপেজ হাবাসের দল এখন অনেকটাই সড়গড়। দুই ম্যাচে ছয় পয়েন্ট। পয়েন্ট টেবিলের মগডালে এটিকে-মোহনবাগান। ডার্বি জয়ের পর বডি ল্যাঙ্গুয়েজ বদলে গিয়েছে রয় কৃষ্ণা, প্রবীর দাস, প্রীতম কোটালদের। চোখে-মুখে মাঠে নেমে পড়ার ছটফটানি। শরীরি অভিব্যক্তিতে চুইয়ে পড়ছে আত্মবিশ্বাস। টুর্নামেন্ট সবে শুরু। তবে প্রথম থেকেই যেভাবে ডানা ঝাপটাতে শুরু করেছে দুই বারছর চ্যাম্পিয়নরা, তাতে সাতের আইএসএলে এটিকে-মোহনবাগানের ওপর বাজি ধরাই যায়।
টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই জবি জাস্টিন চোট পাওয়ায় ও কেরালা ম্যাচে সুসাইরাজ ছিটকে যাওয়ায় খানিকটা বেকায়দায় পড়েছিল এটিকে-মোহনবাগান। কিন্তু কোচ হাবাসের হাতে বিকল্প অনেক বেশি। তাই অস্বস্তি কাটিয়ে উঠে জয়ের হাইওয়েতে এগিয়ে যাওয়ার পথে সমস্যা হয়নি। মাঝমাঠে দুরন্ত ফর্মে রয়েছে জাভি হার্নান্ডেজ ও কার্ল ম্যাক। প্রবীর দাস ক্যারিয়ারের সেরা ছন্দে রয়েছেন। ডিফেন্সে জমাট দেখাচ্ছে প্রীতম, সন্দেশ জুটিকছ। তিন কাঠির নিচে নির্ভরতা দিচ্ছেন অরিন্দম। টুর্নামেন্ট শুরুর প্রথম দিন থেকেই গোলের মধ্যে রয়েছেন রয় কৃষ্ণা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এরপর ডেভিড উইলিয়ামস ও এডু গার্সিয়া নিজেদের ফর্মের ৬০ শতাংশ খেলে দিতে পারলে এই দলকে রোখা মুশকিল। সব মিলিয়ে সপ্তম আইএসএলে সবুজ মেরুন শিবিরে এখন ফিল গুড আবহ।
PARADIP GHOSH