আর তিন গোলের ফারাক দায়ি আর রোনাল্ডোর মধ্যে। হয়তো দেখা যাবে ইউরো ২০২০ এর শেষেই শিরোপা রোনাল্ডোর মাথায়। তবে এই শিরোপা রোনাল্ডোর মাথায় পরিয়ে দিতে বেশ আনন্দিত বোধ করছেন ইরানি কিংবদন্তি। তিনি বিশ্বাস করেন ইতিহাসের তিন সর্বশ্রেষ্ঠ মেসি, মারাদোনা এবং রোনাল্ডো। ''রেকর্ড তৈরিই হয় ভাঙার জন্য।'' ২০১৮ সালে একটি সংবাদ মাধ্যমকে বলেছিলেন তিনি। ''রোনাল্ডোর মধ্যে সেই ক্ষমতা আছে। আমি তাঁকে খুব শ্রদ্ধা করি। তিনি এত বড় মাপের একজন খেলোয়াড় যে আলাদা করে তার প্রশংসা করার দরকার পড়ে না।''
advertisement
আলি ছিলেন এশিয়ান ফুটবলের সবথেকে স্বনামধন্য ফুটবলার। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে একটি ম্যাচে ইরান ৭-০ দেয়, যেখানে ৫ টি গোল এসেছিল তাঁর পা থেকে। গুয়ামের বিরুদ্ধে একটি বিশ্বকাপ যোগ্যতা অর্জনের ম্যাচে তিনি ৪ গোল দেয় যেখানে ইরান ১৭-০ তে জিতেছিল। ১৯৯৮ সালে বিশ্বকাপে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ঐতিহাসিক ২-১ জয়ের ম্যাচে মেহদীর উইনিং গোলে তিনি অ্যাসিস্ট করেছিলেন।
৩৭ বছর বয়সে অবসর নেওয়ার আগে ২০০৬ বিশ্বকাপে তিনি ইরানের অধিনায়কও ছিলেন। আলির রেকর্ডের এত কাছে এসে যাওয়ার রোনাল্ডোকে নিয়ে মারাত্মক উৎসাহী বিশ্ব মিডিয়া। সর্বকালের সেরা আন্তর্জাতিক গোলদাতা হয়ে ওঠার রাস্তায় আর মাত্র তিনটি গোল। রোনাল্ডোর যে প্রকার গোলের খিদে সমর্থকরা আশা করছে ইউরো ২০২০ চলাকালীনই রেকর্ড ভেঙে দেবেন তিনি।