আফগানিস্তান - ১(জামানি )
#দোহা: ম্যাচের প্রথম থেকে দুরন্ত ছন্দে শুরু করেছিল ভারত। জয়ের জন্য প্রথম থেকেই পজিটিভ ফুটবল খেলছিল দল। শুরু থেকেই মাঝমাঠের দখল নিয়ে নেয় ব্রেন্ডন, সুরেশ, গ্লেন মার্টিনস। ডিফেন্সে সন্দেশ, শুভাশিস ভরসা দিচ্ছিলেন। প্রচুর কর্নার পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি ভারত। ৩০ মিনিটের পর কিছুটা ম্যাচে ফেরে আফগানিস্তান। তাদের জিততেই হত। দ্বিতীয়ার্ধে ব্রেন্ডন উঠে গিয়ে নামেন অপুইয়া। এরপর সুনীল ছেত্রীকে তুলে নিয়ে নামানো হয় লিস্টন কলাসোকে।
advertisement
অবশেষে গোলের দেখা মিলল ৭৫ মিনিটে। বাঁদিক থেকে আশিক ক্রস করেছিলেন। আফগান গোলরক্ষক আজিজি বলটা গ্রিপ করেও গলিয়ে দিলেন। সহজ কথায় বলতে গেলে গোল উপহার দিলেন ভারতকে। কিন্তু গোল ধরে রাখতে পারল না ভারত। ৮১ মিনিটে পরিবর্তিত ফুটবলার জামানি জোরালো শটে খেলায় সমতা ফিরিয়ে আনলেন। ২০২২ কাতার বিশ্বকাপে যোগ্যতা অর্জনের পথ অনেক আগেই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল ৷
কিন্তু ২০২৩ এএফসি এশিয়ান কাপের কোয়ালিফাই করার সুযোগ ছিল ভারতের সামনে ৷ তার জন্য আজ, মঙ্গলবার আফগানিস্তানকে হারাতে মরিয়া ছিলেন সুনীল ছেত্রীরা ৷ জিতলে তো বটেই, ড্র করলেও পরের রাউন্ডে যাওয়ার সুযোগ ছিল ভারতীয় দলের ৷ অন্য কোনও অঙ্কে নয় ৷ আজকের ম্যাচ জিতেই পরের রাউন্ডে যেতে মরিয়া ছিলেন ইগর স্তিমাচ ৷
ভারতীয় দলের হেড কোচ স্তিমাচ সোমবার জানিয়ে দিয়েছিলেন, ‘‘ দলের ফুটবলাদের বলেছি, প্রচুর মানুষের সমর্থন রয়েছে আমাদের সঙ্গে। ভারতের জার্সি গায়ে চাপানো মানে এই ১৪০ কোটি ভারতীয়কে গর্বিত করার সুযোগ। ’’ বাংলাদেশ ম্যাচে দুটি গোল করে দলকে জিতিয়েছিলেন সুনীল ৷
আজকের ম্যাচেও গোলের জন্য মুখিয়ে ছিলেন ভারতীয় দলের অধিনায়ক ৷ আফগানিস্তান কখনই খুব সহজ প্রতিপক্ষ নয় ৷ কিন্তু আফগানদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দলের আগের রেকর্ড খারাপও নয় ৷ তাজিকিস্তানের মাটিতে শেষ সাক্ষাতে ১-১ ড্র হয়েছিল খেলা। যাই হোক, এই ফলের পর খুশি হবে ভারতীয় দল।