ক্রোয়েশিয়ান কোচ বলছেন আমি তো মাঠে নেমে গোল করতে পারব না। ওটা ফুটবলারদের করতে হবে। এত সুযোগ হাতছাড়া হলে জেতা সম্ভব নয়। খুব ভুল কথা বলেননি। কিন্তু এটাও ঠিক তার আমলে ১৯ ম্যাচের মধ্যে ভারতীয় দল জয় পেয়েছে মাত্র তিন ম্যাচে। কোচ হিসেবে এমন খারাপ রেকর্ড কেন তা তিনিই বলতে পারবেন। প্রতিযোগিতার শুরুটা খারাপ হলে তা কাটিয়ে ওঠা কঠিন।
advertisement
ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ২০৫ নম্বরে থাকা শ্রীলঙ্কা প্রথম দু’টি ম্যাচে বাংলাদেশ ও নেপালের কাছে হেরেছে। পাঁচ দলের এই টুর্নামেন্টে ফাইনাল খেলার পথ প্রশস্ত করতে হলে বৃহস্পতিবার জিততেই হত গুরপ্রীতদের। পরের দুটো ম্যাচ মালদ্বীপ এবং নেপালের বিরুদ্ধে। ওই দুটো জিততে না পারলে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যাবে ভারত। মিডফিল্ডে গ্লেন, অনিরুদ্ধ প্রচুর পাস খেললেও ফরোয়ার্ডে সুনীল, লিস্টন, উদন্টদের ফাইনাল পাস বাড়ানোর লোকের অভাব দেখা যাচ্ছিল।
প্রথমার্ধে একটাই সুযোগ তৈরি করতে পেরেছিল ভারত। উদন্টর ক্রস হেড করে ঠিক জায়গায় রাখতে পারেননি কোলাসো। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে সুরেশকে তুলে নিয়ে ইয়াসির মহম্মদকে নামালেন ভারতীয় কোচ। একের পর এক আক্রমণ তৈরি করতে থাকল ভারত। অনিরুদ্ধ সহজ সুযোগ হারালেন ৬০ মিনিটে। অনিরুদ্ধকে তুলে আনা হল ফারুক চৌধুরীকে। গোল হচ্ছে না দেখে মাথা গরম করে হলুদ কার্ড দেখলেন ভারতীয় কোচ ইগর।
নিয়ে আসা হল সহাল সামাদকে। শ্রীলঙ্কান ফুটবলাররা চোটের বাহানায় বারবার সময় নষ্ট করেছেন। কিন্তু তাতেও ভারতের গোল করতে না পারার ব্যর্থতাকে ঢেকে দেওয়া যায় না। কোচ ইগর বলছেন বাংলাদেশ এবং শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে জয় না পেলেও ভারতের সামনে সুযোগ আছে সাফ কাপে ফাইনাল খেলার। তার জন্য নেপাল এবং মালদ্বীপকে হারাতেই হবে। এই টুর্নামেন্ট শুরু হওয়ার আগে নেপালে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছিল ভারত। একটি ড্র এবং একটি জয় পেয়েছিল ব্লু টাইগাররা। রবিবার বেঁচে থাকার ম্যাচে সেই নেপালের বিরুদ্ধে লড়াই সুনীল অ্যান্ড কোম্পানির।