ভরা স্টেডিয়াম। ঘরের মাঠ। এটাই কি তবে আসল শক্তি হয়ে দেখা দিল হাঙ্গেরির ফুটবলারদের কাছে। না হলে গত ম্যাচে যারা রোনাল্ডোর পর্তুগালের কাছে তিন গোল হজম করেছিল, তারাই কি না রুখে দিল বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সকে! তারকায় ভরা ফ্রান্স। যারা এবার ইউরোর শুধু ফেভারিট নয়, হট ফেভারিট। অলিভার জিরাউড, অ্যান্টনিও গ্রিজম্যান, কিলিয়ান এমবাপের মতো তারকাদের ভিড় যে দলে! যে ফ্রান্সের কোচ দিদিয়ে দেঁশ! সেই ফ্রান্সকে ১-১ গোলে রুখে দিলল হাঙ্গেরি। এবার ইউরোয় গ্রুপ অফ ডেথ হল গ্রুপ এফ। যে গ্রুপে পর্তুগাল, হাঙ্গেরি, জার্মানি, ফ্রান্স রয়েছে। তিনটি চ্যাম্পিয়ন দলের মাঝে হাঙ্গেরি হয়তো বেমানান। তবে এই হাঙ্গেরি যে জায়ান্ট কিলার হয়ে দাঁড়াবে তা অনেকেই আন্দাজ করেছিলেন। প্রথম ম্য়াচে অবশ্য সেটা হয়নি। পর্তুগালের অ্যাটাকিং ফুটবল সেটা হতে দেয়নি। কিন্তু এদিন ফ্রান্সকে ডিফেন্সের পাঁচিল শক্ত করে আটকে দিল হাঙ্গেরি।
advertisement
প্রথমার্ধে ১০ জনকে নামিয়ে ডিফেন্স শক্ত করেছিল হাঙ্গেরি। যেমনটা কোনও তথাকথিত ছোট দল করে থাকে বড় টিমের বিরুদ্ধে। একের পর এক অ্যাটাক হাঙ্গেরির ডিফেন্সে ধাক্কা খেতেই ধৈর্য হারান জিরাউড, গ্রিজম্যান, ডেম্বেলেরা। উল্টে হাঙ্গেরির আতিলা ফয়লা প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে গোল কের বসেন। ফরাসীদের যেন দর্পচূর্ণ হয়। আর একইসঙ্গে প্রমাণ হয়, ফুটবলে সব সম্ভব। ফ্রান্স আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়ালেও লাভ হচ্ছিল না। শেষমেশ ৬৬ মিনিটে ফরাসীদের মান বাঁচালেন গ্রিজম্যান। দুরন্ত গোলে সমতা ফেরালেন তিনি। তবে এই ড্র হাঙ্গেরির সমর্থককে যেন আলাদা তৃপ্তি দিয়ে গেল। আর সেইসঙ্গে ফ্রান্সের চিন্তা বাড়ল অনেকটাই। কারণ আর কিছুক্ষণের মধ্যেই নামছে পর্তুগাল। জার্মানির বিরুদ্ধে। প্রথম ম্য়াচে জার্মানি হেরে কোণঠাঁসা। তবে পর্তুগাল কিন্তু এবার বেশ চনমনে। রোনাল্ডোও ঝকঝকে।