হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার পর অনেকেরই হার্টের ছন্দ আর স্বাভাবিক থাকে না। ফলে ভবিষ্যতে ফের কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তির ছন্দ স্বাভাবিক নিয়মে ধরে রাখতেই হার্ট স্টার্টার ডিভাইস বসানো হয়। হঠাৎ করে কেউ হৃদরোগে আক্রান্ত হলে অনেক সময় রোগীর বুকে এই যন্ত্র বসানোর সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকরা। ইতিমধ্যে এরিকসনের ফুটবল কেরিয়ার নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। ইন্টার মিলানের হয়ে খেলেন এরিকসন। আর ইতালির নিয়ম অনুযায়ী, হৃদরোগের সমস্যা নিয়ে কোনও অ্যাথলিটকে মাঠে নামতে দেওয়া হয় না। তাই ইন্টার মিলানের হয়ে এরিকসনের খেলার ব্যাপারে সংশয় তৈরি হয়েছে। এরই মধ্যে তাঁর বুকে হাট স্টার্টার ডিভাইস বসানো নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন করছেন, এরিকসন কি আর কখনো মাঠে নামতে পারবেন! সেই উত্তর হয়তো সময় দেবে। তবে আপাতত ডেনমার্কের ফুটবল সংস্থা এরিকসনের স্বাস্থ্য নিয়ে কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছে না। তাছাড়া চিকিৎসকরাও এরিকসনকে দ্রুত সুস্থ করে তুলতে চেয়েছেন।
advertisement
দু'দিন আগেই এরিকসন হাসপাতাল থেকে একটি ছবি শেয়ার করেছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন, তাঁর শারীরিক অবস্থা এখন আগের থেকে অনেকটাই ভাল রয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন এরিকসন এখন আগের থেকে অনেকটাই সুস্থ বোধ করছেন। চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন। তবে এখনই তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছাড়া হবে না। কারণ বেশ কয়েকটি টেস্ট বাকি রয়েছে। সেগুলি এরিকসনকে হাসপাতালে ভর্তি রেখেই করা হবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। ইউরো কাপের গ্রুপ বি-তে ফিনল্য়ান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন এরিকসন। তার পর থেকে গোটা বিশ্ব তাঁর দ্রুত সুস্থতা কামনা করেছিল। এমন একখানা অপ্রত্যাশিত ঘটনা চমকে দিয়েছিল গোটা বিশ্বকে।