বাংলাদেশের কোচ নিশ্চয়ই সুনীল ছেত্রীর পাশাপাশি আদিল খানকে নিয়েও আলাদা কোনো পরিকল্পনা করবেন! সুনীল বরাবরই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে জ্বলে উঠেছেন। ফলে আজ তাঁকে বোতলবন্দি করে রাখার চেষ্টা করবেন বাংলাদেশের ডিফেন্ডাররা। সদ্য করোনাকে হারিয়ে সুস্থ হয়েছেন সুনীল ছেত্রী। গত ম্যাচে কাতারের বিরুদ্ধে তাঁকে বেশিক্ষণ মাঠে রাখেননি ভারতীয় ফুটবল দলের কোচ ইগর স্টিমাচ। তবে আজ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সুনীল ছেত্রীর দাপিয়ে খেলার সম্ভাবনাই বেশি। এখন তিনি শারীরিক দিক থেকেও অনেকটাই সুস্থ। বাংলাদেশের কোচ মেনে নিয়েছেন, ধারে ও ভারে ভারতীয় ফুটবল দল তাঁদের থেকে অনেকটাই এগিয়ে। ২০২২ বিশ্বকাপে ভারতীয় দলের খেলার সম্ভাবনা আর প্রায় নেই বললেই চলে। কিন্তু ২০২৩ এশিয়ান কাপে খেলার সম্ভাবনা জিইয়ে রাখতে আজ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপাবে ভারতীয় দল।
advertisement
২০১৯ সালে আদিল খান ম্যাচের আগে জানতে পেরেছিলেন, তাঁর বাবা অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। টিম বাস যখন যুবভারতীতে পৌঁছে ছিল ঠিক তখনই বাবার অসুস্থতার কথা জানতে পারেন আদিল খান। গত ম্যাচের হিরো এদিন বলছিলেন, ''ওই ম্যাচটা আমার জীবনে সব থেকে স্মরণীয়। চোট-আঘাতের পর ছিটকে গিয়েছিলাম। দীর্ঘদিন লড়াইয়ের পর জাতীয় দলে ফিরেছিলাম। তারপর একটা গোল আমার জীবনটাই যেন বদলে দিয়েছিল! আমি বাবাকে ওই গোলের কথা বলেছিলাম পরে। আমার বাবা ফুটবল ভক্ত। আমার ফুটবলার হওয়ার জন্য বাবাই অনুপ্রেরণা। সেই সময় তাঁর হার্ট সার্জারি হয়েছিল। ওরকম একটা পরিস্থিতিতে জাতীয় দলের জার্সিতে বড় ম্যাচে নেমে খেলা আমার পক্ষে যথেষ্ট চ্যালেঞ্জিং ছিল। তবে সেদিন যুবভারতীর গ্যালারি আমাদের উজ্জীবিত করেছিল। আমরা যখন মাঠে নামছিলাম গ্যালারি প্রতিটা দর্শক উঠে দাঁড়িয়ে আমাদের জন্য গলা ফাটাচ্ছিলেন। ওটাই ভাল পারফর্ম করার জন্য অনুপ্রেরণা দেয়। সেই ম্যাচে বাংলাদেশের রক্ষণভাগ দুর্দান্ত খেলেছিল। সুনীল ভাই অনেক চেষ্টা করছিল গোল করার। শেষ পর্যন্ত আমি হেড থেকে গোল করি।''