তার পরে পরবর্তী লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত হওয়া। পরিসংখ্যান জানাচ্ছে, শেষবার ২০০৮ সালে ইউরোর সেমিফাইনালে খেলেছিল রাশিয়া। বেলজিয়ামের বিরুদ্ধে শেষ সাতটি সাক্ষাৎকারে একবারও জিততে পারেনি তাঁরা। এবারের প্রতিযোগিতায় খেতাব জয়ের অন্যতম দাবিদার বেলজিয়াম। কিন্তু রোমেলু লুকাকুদের কোচ জানেন, অঘটন ঘটতেই পারে। যেমন ঘটেছিল পাঁচ বছর আগে ২০১৬ সালে ইউরো কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে। সেবার ওয়েলসের কাছে হেরে বিদায় নিতে হয়েছিল বেলজিয়ামকে। তাই এবার বাড়তি সতর্ক মার্তিনেস।
advertisement
রাশিয়া ম্যাচের আগে চোট-আঘাতে বিদ্ধ বেলজিয়াম শিবির। আক্রমণভাগে নির্ভরযোগ্য ফুটবলার কেভিন দ্য ব্রুইন খেলতে পারবেন না শনিবার। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে চোখে এবং নাকের হাড় ভেঙেছিল কেভিনের। গত সপ্তাহেই অস্ত্রোপচার হয়েছে। মাঝমাঠের আর এক ফুটবলার অ্যাক্সেল উইটসেলেরও গোড়ালিতে চোট রয়েছে। বেলজিয়াম আক্রমণ ভাগের আর এক ফুটবলার ইডেন হ্যাজার্ড আবার ভুগছেন ফিটনেস সমস্যায়। রাশিয়ার বিরুদ্ধে তিনি অতিরিক্ত তালিকায় থাকতে পারেন।
তবে এই দু’জন না থাকলেও বেলজিয়াম দল অভিজ্ঞতায় পূর্ণ। গোলরক্ষা ও গোল করার জন্য রয়েছেন থিবো কর্তুয়া, রোমেলু লুকাকুরা। মাঝমাঠ ও প্রান্ত দিয়ে বিপক্ষ রক্ষণকে চাপে রাখতে পারেন ইউরি টেলিমান্স এবং থোমাস মিউনিয়ের। আর রক্ষণে মার্তিনেসের ভরসা বর্ষীয়ান টোবি অলডারওয়ের্ল্ড, ইয়াম ভার্তোমেন, থোমাস ভার্মালেন। অন্য দিকে, রাশিয়া শিবিরে আশঙ্কা বাড়িয়েছে করোনা সংক্রমণ।
শুক্রবার দলের উইঙ্গার আন্দ্রে মস্তোভয় করোনা সংক্রমিত হয়ে দল থেকে ছিটকে যাওয়ায় গোটা দলই এই মুহূর্তে ত্রস্ত। তাঁর পরিবর্ত হিসেবে দলে এসেছেন রোমান ইভজেনিয়েভ। গত সপ্তাহে প্রস্তুতি ম্যাচে কাফ মাসলে চোট পেয়েছেন রাশিয়ার অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার ফিয়োডর কুদ্রিয়াশভ। তবে নিজেদের ঘরের মাঠে রাশিয়া মোটেই সহজ প্রতিপক্ষ হবে না বিলক্ষণ জানেন বেলজিয়াম কোচ। বড় শরীর এবং শক্তি কাজে লাগিয়ে রুশ ফুটবলাররা অঘটন ঘটাতে চাইবেন।