ক্রমশ জটিল পরিস্থিতি আরও জটিল হওয়ার মুখে। চুক্তি বিতর্কের মধ্যেই নির্বাসনের শাস্তি নেমে এল লাল-হলুদে। ফুটবলারদের বকেয়া না মেটানোয় সোমবার নতুন মরসুমে ফুটবলার সই করানোর ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা (ট্রান্সফার ব্যান) জারি করল ফিফা। আইএসএলের আর এক দল কেরল ব্লাস্টার্সকেও নির্বাসিত করেছে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ামক সংস্থা। চুক্তি অনুযায়ী অর্থ না পেয়ে আগের লগ্নিকারী সংস্থাকে নোটিশ পাঠিয়েছিলেন লাল-হলুদের একাধিক ফুটবলার। কিন্তু তারা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিল, যে-হেতু ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে, তাই ফুটবলারদের বকেয়া মেটানোর দায়িত্ব তারা নেবে না।
advertisement
এর পরেই ফেডারেশনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ফুটবলারেরা। অভিযোগ করেন ভারতের ফুটবলারদের সংস্থার কাছেও। ফিফার কাছে অভিযোগ করেন স্পেনীয় ফিজিক্যাল ট্রেনার কার্লোস নোদার। ফুটবলার খাইমে সান্তোস কোলাদো-সহ অনেকেই। লাল-হলুদের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধার পরে নতুন লগ্নিকারী সংস্থা এএফসি-র কাছে মুচলেকা দিয়ে জানিয়েছিল, ক্লাবের যাবতীয় বকেয়া তারা মিটিয়ে দেবে। এই বকেয়ার পরিমাণ প্রায় পাঁচ কোটি টাকা। পাশাপাশি লগ্নিকারী সংস্থার কর্তারা দাবি করেছিলেন, প্রাথমিক চুক্তি অনুযায়ী ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসের আগে ইস্টবেঙ্গলের কোনও আর্থিক দায় তাঁরা নেবেন না।
মাসখানেক আগেই ফিফার তরফে চিঠি দিয়ে ইস্টবেঙ্গলকে দ্রুত বকেয়া মেটানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। জানিয়ে দেওয়া হয়, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বকেয়া না মেটালে নতুন মরসুমে ফুটবলারদের সই করানোর উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করানো হবে। সোমবার সেটাই হল। এদিকে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের পক্ষ থেকে দেবব্রত সরকার জানান, এদিন সকালেই শ্রী সিমেন্ট মারফত তাঁরা এই ট্রানস্ফার ব্যানের খবরটা জানতে পারেন। খবরটা সত্য।
তবে ক্লাবের এই পরিস্থিতির জন্য প্রাক্তন লগ্নিকারী সংস্থা কোয়েসকে দায়ী করেছেন তিনি। প্রাক্তন লগ্নিকারী সংস্থার করে যাওয়া পাপ বলেও অভিহিত করেন তিনি। কোয়েস একতরফা টার্মিনেশন করেছিল, যা আইন বিরুদ্ধ। এই টার্মিনেশন ফিফা বা অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশন কেউই মানছে না বলেও জানান তিনি। এই নিয়ে তাঁরা চিন্তায় আছেন বলেও জানান দেবব্রত সরকার।