এই স্টেডিয়ামে দর্শক সংখ্যা নিয়ে কোনো সীমাবদ্ধতা নেই বাকিদের মতন।রোমের অলিম্পিক স্টেডিয়ামে ইউরো অনুষ্ঠিত হবে ২৫% দর্শক নিয়ে ঠিক তেমনই আমস্টারডাম, কপেনহেগেনের মতন স্টেডিয়ামে ২৫%-৩৩% দর্শককে ঢুকতে দেওয়া হবে।অথচ বুদাপেস্টে প্রায় ৬৮ হাজার দর্শককে ঢুকতে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। হাঙ্গেরি নিজেদের গ্রুপের ম্যাচে এই স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে পর্তুগাল এবং ফ্রান্সের সাথে। ম্যাচের টিকিট অনলাইনে আসার ২ঘণ্টার মধ্যেই বিক্রি হয়ে গেছে।সুতরাং আমরা আন্দাজ করতেই পারি যে সরাসরি মাঠে এসে খেলা দেখার চাহিদা কতটা।
advertisement
হাঙ্গেরি জাতীয় দলের সাপোর্টার গ্রুপ আল্ট্রাস "ক্যারপথিয়ান ব্রিগেড" থেকে এদিন বলা হয় "৫০০ দিন পর আমরা স্টেডিয়ামে বসে খেলা দেখার জন্যে মুখিয়ে আছি।"তবে হাঙ্গেরি ফুটবল সংস্থা থেকে এদিন জানানো হয় তারা তাদেরকেই মাঠে প্রবেশের অনুমতি দেবেন যারা ভ্যাকসিন নিয়েছেন এবং যাদের কাছে করোনা রিপোর্ট থাকবে।কিন্তু সারা বিশ্বে যখন করোনার তৃতীয় ঢেউ আসছে সেখানে এতো বিপুল সংখ্যক দর্শকদের অনুমতি দেওয়াটা কি উচিৎ?
হাঙ্গেরি সরকার দাবি করছেন যে তারা কোভিড অতিমারির তৃতীয় ঢেউকে হারিয়ে দিয়েছেন।কিন্তু কিছু কিছু রিপোর্টার মনে করেন যে ৬৮ হাজার দর্শকের প্রাণ সংশয় রয়েছে। ইউরোপের অন্য দেশগুলোর মতোই হাঙ্গেরিতে মার্চ এপ্রিল মাসে দৈনিক মৃত্যু সংখ্যা ছিল মারাত্মক।এখন অবস্থা স্বাভাবিক হলেও কোনোভাবেই শেষ হয়ে যায়নি।তাই বিপদ থাকছেই। তবে এই অতিমারির সময়েও এই স্টেডিয়ামে দর্শক প্রবেশ হয়েছিল। উয়েফা সুপার কাপে ২০,০০০ দর্শক মাঠে বসে বায়ার্ন মিউনিখ বনাম সেভিয়ার খেলা দেখার সুযোগ পান।তাই তাদের সরকার এই ঝুঁকি নিতে প্রস্তুত।