গোল্ডেন হ্যান্ডশেক বলা যাচ্ছে না। কারণ শেষ সময়েও দুই তরফেই পরস্পরের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ, প্রশ্ন ও অভিযোগ জমা রয়েছে। শ্রী সিমেন্টের সঙ্গে ইস্টবেঙ্গলের সম্পর্ক শেষ হচ্ছে সেটা নিশ্চিত করেই বলা যেতে পারে।
শুক্রবার পর্যন্ত যা ইঙ্গিত, তাতে আইনি জটিলতা এড়ানোর মরিয়া চেষ্টায় দুই পক্ষই। সব রকম অভিযোগ কিংবা পাল্টা অভিযোগের বাইরে এসে বিনিয়োগকারী শ্রী সিমেন্ট কোনও রকম শর্ত ছাড়াই স্পোর্টিং রাইট ক্লাবকে ফিরিয়ে দিতে রাজি হওয়ার পথে।
advertisement
বৃহস্পতিবার দুপুরে ইস্টবেঙ্গলের এক শীর্ষকর্তা আলোচনায় বসেন দুই পক্ষেরই ঘনিষ্ঠ এবং শ্রী সিমেন্ট ও ইস্টবেঙ্গলের মউ সই-তে মধ্যস্থতাকারীর সঙ্গে। লাল হলুদ সূত্রে খবর, মূলত সেই আলোচনার ভিত্তিতেই বলা যেতে পারে কোনও রকম আইনি জটিলতা ছাড়াই মসৃণ ভাবে সম্পর্ক শেষ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আলোচনায় ক্লাবের পক্ষ থেকে বিনিয়োগকারীদের পাঠানো চুক্তিপত্রে আপত্তিজনক ক্লজ নিয়েও কথাবার্তা হয়।
শ্রী সিমেন্ট সরে যাওয়ার পরে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে কী ভাবে, কোন পথে ইস্টবেঙ্গল এগোবে সেই বিষয়েও প্রাথমিক স্তরে কথাবার্তা হয়! লাল হলুদ সমর্থকদের জন্য স্বস্তির খবর, বিনা শর্তে স্পোর্টিং রাইটস ক্লাবকে ফিরিয়ে দিচ্ছে বিনিয়োগকারীরা।
পুরো প্রক্রিয়া থেকে শ্রী সিমেন্ট সরে যাওয়ার পর নির্দিষ্ট সময়ের পরিসরে নিজেদের গুছিয়ে নিতে পারলে ভারতীয় ফুটবলের মূলস্রোতে ফিরতে সমস্যা হওয়ার কথা নয় শতবর্ষ পেরোনো লাল-হলুদের। তবে কোভিড পরিস্থিতিতে বিকল্প বিনিয়োগকারী জোটানোটাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ দেবব্রত সরকার, সৈকত গঙ্গোপাধ্যায়দের মতো ক্লাবকর্তাদের সামনে।
তবে স্বল্প পরিসরে নিজেদের গুছিয়ে নিয়ে অন্যান্য আনুষঙ্গিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে মসৃণভাবে ফুটবলে ফিরে আসাটাই এখন পাখির চোখ ইস্টবেঙ্গল ক্লাব কর্তাদের। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহনবাগান যেখানে ক্রমশই নিজেদের সমৃদ্ধ করছে, সেখানে পারিপার্শ্বিক চাপ সামলে ক্লাবের পরিস্থিতি স্বাভাবিক করাটাই পাখির চোখ পড়শি লাল-হলুদের।
PARADIP GHOSH
