এই সেবিকার আইনজীবীর দাবি, অবহেলায় দিয়েগোকে হত্যা করেছেন চিকিৎসকেরা। তদন্তে কৌঁসুলিরা জিজ্ঞাসাবাদ করেন সেবিকা দাহিয়ানা গিজেলা মাদ্রিদকে। তাঁর আইনজীবী রডোলফো বাকু সংবাদকর্মীদের বলেন, ‘তাঁরা (চিকিৎসক) মারাদোনাকে হত্যা করেছেন।’ মস্তিস্কে অস্ত্রোপচার ও নানাবিধ শারীরিক জটিলতা নিয়ে গত বছর নভেম্বরে ৬০ বছর বয়সে মারা যান ৮৬ বিশ্বকাপ কিংবদন্তি। এর আগে বিশেষজ্ঞদের বোর্ড মারাদোনার মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধান করতে নেমে তাঁর প্রতি অবহেলার নজির খুঁজে পান।
advertisement
পর্যাপ্ত সেবা তাঁকে দেওয়া হয়নি এবং ‘দীর্ঘ সময়ের জন্য’ তাঁকে ভাগ্যের ওপর ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল, এমন নজির খুঁজে পায় বিশেষজ্ঞ বোর্ড। এরপর সাতজনকে তদন্তের আওতায় আনা হয়। গিজেলা মাদ্রিদ তাঁদের একজন। রডোলফো বাকুর দাবি, মস্তিস্কে অস্ত্রোপচারের পর চিকিৎসকেরা দিয়েগোর দেখাশোনা করছিলেন, তাঁর মক্কেল গিজেলা মাদ্রিদ নন। মারাদোনা র মৃত্যুতে এই সেবিকাকেও দোষারোপ করা হয়েছে।
এই আইনজীবি বলেন, মারাদোনার হৃৎপিণ্ডের চিকিৎসা করা হচ্ছিল। একই সময়ে তিনি মনোরোগের ওষুধও খাচ্ছিলেন, যে কারণে তাঁর হৃদন্ত্রের গতি বেড়ে যায়। মারাদোনা নাকি হাসপাতালে একবার পড়েও গিয়েছিলেন। তখন সেবিকা গিজেলা মাদ্রিদ তাঁকে স্ক্যান করানোর অনুরোধ করেন। কিন্তু দিয়েগো তা প্রত্যাখ্যান করে বলেন, সংবাদমাধ্যম জানলে বিষয়টি ভাল দেখাবে না।
মামলাটি আদালতে ওঠার পর ২০ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক মিলে একটি বোর্ড গঠন করা হয়। অভিযুক্তরা দোষী প্রমাণিত হলে ৮ থেকে ২৫ বছরের সাজা হতে পারে। আর্জেন্টাইন কিংবদন্তিকে মৃত দেখা ব্যক্তিদেরও একজন গিজেলা মাদ্রিদ।সব মিলিয়ে কে সত্যি বলছেন, কে মিথ্যে বোঝা কঠিন। তবে মারাদোনার মৃত্যুরহস্য ক্রমশ জটিল রূপ নিচ্ছে তাতে সন্দেহ নেই।