গত তিনবার বিশ্বকাপে যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি চেক প্রজাতন্ত্র। এখনকার দলে পাভেল নেদভেদ, পেত্রা চেক বা টমাস রসিস্কির মতো তারকা ফুটবলারও নেই। কিন্তু তাতে কি ? এই চেক প্রজাতন্ত্রই এবারের ইউরোর অঘোষিত ‘ডার্ক হর্স’। গ্রুপ পর্বে ঝলমলে পারফরম্যান্সের পর প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে হেভিওয়েট নেদারল্যান্ডসকে ছিটকে দিয়ে শোরগোল ফেলেছেন প্যাট্রিক শিকরা। কোয়ার্টার-ফাইনালে এবার তাঁদের প্রতিপক্ষ ডেনমার্ক।
advertisement
জয়ের ধারা অব্যাহত রাখাই এখন একমাত্র লক্ষ্য জারোস্লাভ সিলহাভির দলের। অন্যদিকে, ১৯৯২ সালের রূপকথা ফিরিয়ে আনায় পাখির চোখ ডেনমার্কের। সেবার শক্তিশালী জার্মানিকে ২-০ ব্যবধানে হারিয়ে ইউরোপ সেরা হয়েছিল তারা। এবারও তেমন কিছুর আশায় বুক বাঁধছে ড্যানিশরা। ইউরোতে জ্বলে ওঠার পুরনো অভ্যাস রয়েছে চেক প্রজাতন্ত্রের। ১৯৯৬ সাল থেকে একটি ইউরোও মিস করেনি দলটি। সেবার রানার্স হয় চেকরা। এরপর ২০০৪ ও ২০১২ সালের পর ফের ইউরোর শেষ আটে পৌঁছেছেন সুচেকরা।
দলগত সংহতিই এবার সিলহাভির দলের অন্যতম শক্তি। তাছাড়া দলটির আক্রমণভাগ দুর্দান্ত ছন্দে রয়েছে। প্রধান স্ট্রাইকার শিক চার গোল করে গোল্ডেন বুটের দৌড়ে রয়েছেন। টমাস হোলস ও সুচেকরাও তাঁকে যোগ্য সঙ্গ দিচ্ছেন। তবে রক্ষণভাগ নিয়ে কিছুটা চিন্তায় রয়েছেন চেক কোচ। কৌফল ছাড়া বড় লিগে খেলার সেরকম কারও অভিজ্ঞতা নেই। নক-আউটের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে কালাসরা কীভাবে স্নায়ুর চাপ ধরে রাখেন, সেই দিকে নজর থাকবে।
এদিকে, ইউরোর শুরুটা খুব একটা ভালো হয়নি ডেনমার্কের। প্রথম ম্যাচেই অসুস্থ হন ক্রিশ্চিয়ান এরিকসন। তবে এই ধাক্কা সামলে উঠে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে রাশিয়াকে উড়িয়ে দিয়ে নক-আউটের মুখ দেখেছে ড্যানিশরা। অধিনায়ক সিমোন কাইজারের মন্তব্য, ‘অসুস্থ এরিকসনই আমাদের অনুপ্রেরণা। যে কোনও মূল্যে শেষ চারে পৌঁছতে হবে।’
ডেনমার্ক শেষ দুটো ম্যাচে আট গোল করেছে। অসম্ভব দ্রুত আক্রমণ তুলে আনছে প্রতিপক্ষের সীমানায়। চেক ডিফেন্স অভিজ্ঞতার দিক থেকে পিছিয়ে। আজ আবার ফিরছেন ডেনমার্কের প্রধান স্ট্রাইকার ইউসুফ পলসেন। তাই কিছুটা হলেও অ্যাডভান্টেজ ডেনমার্ক।
চেক রিপাবলিক বনাম ডেনমার্ক
আজ রাত - ৯:৩০