শুধু এরিকসনকে সাহায্য করাই নয়, মাঠে যখন এরিকসনের চিকিৎসা চলছিল তখন সিমন সতীর্থদের নিয়ে তাঁকে ঘিরে রাখেন। যাতে ক্যামেরায় এরিকসনের চিকিৎসা দৃশ্য ধরা না পড়ে! মাঠের ভিতর থেকেই রিজার্ভ বেঞ্চে থাকা ফুটবলার, কোচ, সাপোর্ট স্টাফদের বার্তা দিতে থাকেন তিনি। দলের প্রত্যেকের সঙ্গে প্রার্থনা করতে থাকেন। এরপরই দেখা যায় এরিকসনের স্ত্রী মাঠে নেমে এসে লাইনের ধারে কান্নাকাটি করছেন। তৎক্ষণাৎ তাঁর কাছে ছুটে গিয়ে সান্তনা দেওয়ার কাজও করেন সিমন। টেলিভিশন ক্যামেরায় সেই ছবি ধরা পড়ে। প্রত্যেক মুহূর্তে মাথা ঠান্ডা রেখে কাজ করে গিয়েছেন জার। পরবর্তী সময় এরিকসনের স্থিতিশীল হওয়ার খবর পাওয়ার পর দল নিয়ে দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নামেন সিমন। সেই সময় হাসপাতাল থেকে ভিডিও কলের মাধ্যমে সতীর্থদের ম্যাচ খেলার বার্তাও দেন এরিকসন।
advertisement
সিমনের প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে ইস্টবেঙ্গল কর্তা তথা ডাক্তার শান্তিরঞ্জন দাশগুপ্ত স্মৃতিতে আশিয়ান কাপে ডগলাসের কথা উঠে আসছে। ইস্টবেঙ্গলের ডিফেন্ডার দেবজিত ঘোষ হেড করতে উঠে বিপক্ষ ফুটবলারের সঙ্গে সংঘর্ষে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। অজ্ঞান হয়ে যান। তারপর পরিস্থিতি বুঝে তৎক্ষণাৎ ডগলাস দেবজিতের মুখে মুখ রেখে কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাস দিতে থাকেন। এর পর মাঠে ঢুকে সিপিআর ও ইনজেকশন দেন ডাক্তার শান্তিরঞ্জন। ফলে সেই যাত্রায় প্রাণ রক্ষা পায় দেবজিতের।