TRENDING:

Euro 2020: Christian Eriksen-কে বাঁচিয়ে দিল তাঁর উপস্থিত বুদ্ধি! ক্যাপ্টেন সিমন 'সুপারহিরো'

Last Updated:

জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক তিনি। তাই অধিনায়কের মতোই দায়িত্ব নিলেন মাঠে ও মাঠের বাইরে।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#কোপেনহেগেন: কঠিন বিপদের সময় মাথা ঠান্ডা রেখেছিলেন তিনি। তাঁর উপস্থিত বুদ্ধিতেই এবারের মতো রক্ষা পেলেন ক্রিশ্চিয়ান এরিকসন। সতীর্থের প্রাণরক্ষা করে ডেনমার্কের ক্যাপ্টেন যেন এখন সুপারহিরো! এই মুহূর্তে সারা বিশ্বে নায়কের মর্যাদা পাচ্ছেন ডেনমার্কের অধিনায়ক। সিমন জারের উপস্থিত বুদ্ধিতেই প্রাণরক্ষা হয়েছে ডেনমার্কের ফুটবলার ক্রিশ্চিয়ান এরিকসনের। প্রথমার্ধের ৪৩ মিনিটে মাঠের সাইডলাইনে সতীর্থর থ্রো রিসিভ করতে গিয়েই মাটিতে লুটিয়ে পড়লেন এরিকসন। দেখা যায় নড়াচড়া করছেন না ডেনমার্কের এই অভিজ্ঞ ফুটবলার। তৎক্ষণাৎ ডেনমার্কের তারকা মিডফিল্ডার এরিকসনের দিকে ছুটে যান দলের সতীর্থরা। কিছুটা দূরে ছিলেন অধিনায়ক সিমন। মুহূর্তের মধ্যেই তিনি বুঝতে পারেন, কঠিন বিপদের মধ্যে পড়েছেন সতীর্থ এরিকসন। অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে থাকা এরিকসনকে সোজা করে শুয়ে দেওয়ার পরেই মুখ খুলে জিভ বের করে আনেন জার। যাতে এরিকসনের শ্বাস চলতে থাকে। কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাস দেন। মেডিক্যাল টিম মাঠে ঢোকার আগেই বুকে চাপ দেন। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, জারের উপস্থিত বুদ্ধি ও তৎপরতাতেই প্রাণ ফিরে পেয়েছেন এরিকসন।
advertisement

শুধু এরিকসনকে সাহায্য করাই নয়, মাঠে যখন এরিকসনের চিকিৎসা চলছিল তখন সিমন সতীর্থদের নিয়ে তাঁকে ঘিরে রাখেন। যাতে ক্যামেরায় এরিকসনের চিকিৎসা দৃশ্য ধরা না পড়ে! মাঠের ভিতর থেকেই রিজার্ভ বেঞ্চে থাকা ফুটবলার, কোচ, সাপোর্ট স্টাফদের বার্তা দিতে থাকেন তিনি। দলের প্রত্যেকের সঙ্গে প্রার্থনা করতে থাকেন। এরপরই দেখা যায় এরিকসনের স্ত্রী মাঠে নেমে এসে লাইনের ধারে কান্নাকাটি করছেন। তৎক্ষণাৎ তাঁর কাছে ছুটে গিয়ে সান্তনা দেওয়ার কাজও করেন সিমন। টেলিভিশন ক্যামেরায় সেই ছবি ধরা পড়ে। প্রত্যেক মুহূর্তে মাথা ঠান্ডা রেখে কাজ করে গিয়েছেন জার। পরবর্তী সময় এরিকসনের স্থিতিশীল হওয়ার খবর পাওয়ার পর দল নিয়ে দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নামেন সিমন। সেই সময় হাসপাতাল থেকে ভিডিও কলের মাধ্যমে সতীর্থদের ম্যাচ খেলার বার্তাও দেন এরিকসন।

advertisement

সিমনের প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে ইস্টবেঙ্গল কর্তা তথা ডাক্তার শান্তিরঞ্জন দাশগুপ্ত স্মৃতিতে আশিয়ান কাপে ডগলাসের কথা উঠে আসছে। ইস্টবেঙ্গলের ডিফেন্ডার দেবজিত ঘোষ হেড করতে উঠে বিপক্ষ ফুটবলারের সঙ্গে সংঘর্ষে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। অজ্ঞান হয়ে যান। তারপর পরিস্থিতি বুঝে তৎক্ষণাৎ ডগলাস দেবজিতের মুখে মুখ রেখে কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাস দিতে থাকেন। এর পর মাঠে ঢুকে সিপিআর ও ইনজেকশন দেন ডাক্তার শান্তিরঞ্জন। ফলে সেই যাত্রায় প্রাণ রক্ষা পায় দেবজিতের।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/খেলা/
Euro 2020: Christian Eriksen-কে বাঁচিয়ে দিল তাঁর উপস্থিত বুদ্ধি! ক্যাপ্টেন সিমন 'সুপারহিরো'
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল