পর্তুগাল ও জুভেন্তাস, জাতীয় দল ও ক্লাবের হয়ে নিজের সেরাটা উজাড় করে দেন। রোনাল্ডো চোটের ভয়ে জাতীয় দলের হয়ে ১০০ শতাংশ দেন না, এমন অপবাদ কেউ দিতে পারবেন না। স্পেনের বিরুদ্ধে এদিন ইউরো কাপের ওয়ার্ম-আপ ম্যাচে রোনাল্ডো সেরাটাই দিলেন। তবে তাঁর দল জিততে পারল না। ড্র ম্যাচ সাধারণত সাদামাটা হয়। তবে রোনাল্ডো যে ম্যাচে খেলেন সেটা এমনিতেই রঙচঙে হয়ে যায়। এদিনও সেটাই হল। ৩৬ বছর বয়সী রোনাল্ডো ফিটনেসের এমন ঝলক দেখালেন যে ম্যাচের থেকে বেশি তাঁকে নিয়েই কথা হল। মাদ্রিদের এই ম্য়াচের শেষের দিকে, ৮৭ মিনিটে, রোনাল্ডো বক্স টু বক্স ছুটলেন মাত্র ১০ সেকেন্ডে। ইউরো কাপ শুরু হল বলে! তার আগে রোনাল্ডো ফিটনেসের যে লেভেল দেখালেন তাতে সবাই অবাক।
advertisement
কখনও স্পট জাম্প, কখনও উইথ দ্য বল দৌড়, রোনাল্ডো যে ফিটেস্ট, তা বহুবার প্রমাণ করেছেন। তবে তিনি যেন একটা বেঞ্চমার্ক তৈরি করে রেখে যেতে চান। ফিটনেসের সেই বেঞ্চমার্ক তাঁর নামেই খোদাই থাকবে। সেটা পার করা দুঃসাধ্য হবে পরের প্রজন্মের ফুটবলারদের জন্য। ২০১৮ বিশ্বকাপে রোনাল্ডো স্পেনের বিরুদ্ধে হ্যাটট্রিক করেছিলেন। তবে এদিন তিনি থাকতেও পর্তুগাল জিতল না। যদিও তিনি মাঠে নামতেই পর্তুগালের ফুটবলারদের শরীর ভাষা বদলে গেল। মাদ্রিদের এস্তাদিও ওয়ান্ডা মেট্রোপলিটানো স্টেডিয়াম গমগম করল রোনাল্ডো ভক্তদের চিত্কারে। আর সেই চিত্কারই যেন রোনাল্ডোকে আরও উজ্জীবিত করে দিল। ম্যাচের শেষ দিকে তিনি টিনএজারের মতো দ্রুতগতিতে ছুটলেন। ৩৬ বছর বয়সে সে কী অসম্ভব দৌড়!