করোনায় বিপর্যস্ত ব্রাজিলে যেন এ সময় কোনও কোপার মতো টুর্নামেন্ট আয়োজিত না হয়, সে ব্যাপারে একমত তাঁদের সর্বোচ্চ আদালত। ব্রাজিলে করোনার ভয়াবহ সংক্রমণের মধ্যে কোনোরকম আলোচনা ছাড়াই অপ্রত্যাশিতভাবে কোপা আমেরিকা আয়োজনের ভার অর্পণ করায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন ফুটবলাররা। কিছু ফুটবলার তো কোপায় অংশ নিতেও নারাজ ছিলেন। তবে কোপা আমেরিকা মাঠে গড়ানো থেকে মাত্র পাঁচ দিন বাকি থাকলেও এ টুর্নামেন্ট ঘিরে সন্দেহ এখনও দূর হয়নি।
advertisement
কোপা আমেরিকা আয়োজন থামানোর বিষয়ে সম্মত হয়েছেন ব্রাজিলের সুপ্রিম কোর্ট। কাল এ নিয়ে নির্দেশ জারি করবেন আদালত।প্রধান বিচারপতি লুইস ফাক্স বলেছেন, ‘ব্যতিক্রমী এই পরিস্থিতির মধ্যে তিনি অনলাইনে ১১ সদস্যের আদালত বসিয়ে বিষয়টির শুনানি অনুষ্ঠিত করবেন। আর এ বিষয় আদালতে উপস্থাপন করেছে ব্রাজিলের জাতীয় মেটালওয়ার্কার্স ইউনিয়ন, কংগ্রেসের বিরোধী দলীয় সদস্য হুলিও দেলগাদো এবং তাঁর দল ব্রাজিলিয়ান সোশ্যালিস্ট পার্টি (পিএসবি)। কোপা আমেরিকা আয়োজন করে মানুষের ‘স্বাস্থ্য ও বাঁচার মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করা হচ্ছে’।
এদিকে ব্রাজিলের অফিশিয়ালরা জানিয়েছেন, গ্যালারিতে দর্শক ছাড়াই কোপা আমেরিকা আয়োজন করা হবে। সব কটি দলকে বাধ্যতামূলক কোভিড পরীক্ষা করাতে হবে। চলাচলেও নিষেধাজ্ঞা থাকবে এবং ভাড়া করা বিমানে দলগুলোকে ম্যাচের ভেন্যুতে নেওয়া হবে। এদিকে ব্রাজিলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় গত সোমবার সব কটি দলের খেলোয়াড়, কোচ ও স্টাফদের কোভিড টিকাদান কর্মসূচি থেকে সরে আসার ঘোষণা দেয়।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মার্সেলো কুইরোগা জানান, টিকা দিয়ে খেলোয়াড়দের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা নিশ্চিত করতে দেরি হয়ে গেছে এবং টিকা নেওয়ার পর সৃষ্ট পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া তাঁদের ‘পারফরম্যান্সে প্রভাব ফেলতে পারে’। যাই হোক, কোর্টের রায় সকলকেই মাথা পেতে নিতে হবে। কিন্তু কোপা আমেরিকা বন্ধ হয়ে গেলে ব্যক্তিগতভাবে অখুশি হবেন লিওনেল মেসি, লুইস সুয়ারেজের মত ফুটবলাররা। কারণ সম্ভবত এটাই তাঁদের শেষ কোপা। কোপা ভাগ্য এখন সুপ্রিম কোর্টের হাতে।