কিন্তু প্রশ্নের মুখে ডেনমার্কের এই তারকা ফুটবলারের ভবিষ্যৎ। ক্রীড়া বিষয়ক হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ প্রফেসর সঞ্জয় শর্মার মত, আপাতত সুস্থ হলেও, আর কখনও হয়তো মাঠে ফিরতে পারবেন না এরিকসেন। তিনি আদৌ হার্ট অ্যাটাক করেছেন কিনা সে বিষয়েও যথেষ্ঠ সংশয় রয়েছে লন্ডনের সেইন্ট জর্জ ইউনিভার্সিটির ক্রীড়া হৃদরোগের এ বিশেষজ্ঞের। এরিকসেন যখন টটেনহ্যাম হটস্পারে ছিলেন, তখন তাঁর সঙ্গে কাজ করেছেন এই ভারতীয়। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই মূলত এ বিষয়ে বিস্তারিত কথা বলেছেন সঞ্জয় শর্মা।
advertisement
তাঁর ধারণা, এরিকসেনের শারীরিক অবস্থায় ভয়াবহ কোনো সমস্যা হয়েছে। কিন্তু কী হয়েছে এবং কেন হয়েছে সে প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন সঞ্জয়ও। স্কাই নিউজকে সঞ্জয় বলেছেন, ‘এটা পরিষ্কার যে, কোথাও একটা ভয়াবহ অসঙ্গতি হয়েছে। এটা ভাল বিষয় যে মেডিকেল টিম এরিকসেনের জ্ঞান ফেরাতে পেরেছে। কিন্তু প্রশ্ন হল, কী হয়েছে? কেনই বা হয়েছে ? তাঁর তো ২০১৯ সাল পর্যন্ত সব রিপোর্ট ঠিক ছিল। আমি নিজে দেখেছি। এটাকে হার্ট অ্যাটাক কীভাবে বলতে পারেন ? ’
এসময় সঞ্জয় শর্মা একপ্রকার সতর্ক করার মতোই জানান, অন্তত ইংল্যান্ডে হলে এরিকসেনকে আর মাঠে ফেরার অনুমতি দেওয়া হত না। তবে এরিকসেন এখন খেলেন ইতালির ক্লাব ইন্টার মিলানে। সেখানেও পেশাদার পর্যায়ে এরিকসেন আবার খেলতে পারবেন কিনা, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে সঞ্জয়ের। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, ভাল বিষয় হল, এরিকসেন বেঁচে আছে। কিন্তু খারাপ খবর হল, সে তাঁর ক্যারিয়ারের শেষদিকে ছিল। তো এখন সে আরে পেশাদার ম্যাচ খেলতে পারবে কি না, তা আমি জানি না। ইংল্যান্ডে হলে আমরা তাঁকে খেলতে দিতাম না।
এদিকে ডেনমার্ক বাকি ম্যাচ শেষ করল বটে। কিন্তু ফিনল্যান্ডের কাছে হেরে বসল। নিজেদের ঘরের মাঠে এই হার মানতে অসুবিধা হচ্ছে ড্যানিশ সমর্থকদের। তবে এরিকসনের বিপদ কেটে যাওয়ায় মুখে স্বস্তির হাসি ফিরেছে তাঁদের। পরের ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রতিজ্ঞা নিয়ে ফেলেছে ডেনমার্ক।