( রিচারলসন, নেইমার )
ইকুয়েডর -০
# রিও ডি জেনিরো: সম্প্রতি মাঠের বাইরে সময়টা মোটেও ভাল যাচ্ছিল না নেইমার দা সিলভার। যৌন হেনস্তার অভিযোগ থেকে শুরু করে পুরনো স্পন্সরের হাত তুলে নেওয়া, সইতে হচ্ছিল অনেক কিছুই। কিন্তু তিনি যে অন্য ধাতুতে গড়া। মাঠে আবার প্রমান দিলেন সেলেকাও ফুটবলের বর্তমান মহাতারকা। আন্তর্জাতিক গোলের ক্ষেত্রে সংখ্যাটা নিয়ে গেলেন ৬৫ তে। ফুটবল সম্রাট পেলের হলুদ জার্সিতে গোলের সংখ্যা ৭৭। অর্থাৎ পেলেকে স্পর্শ করা থেকে মাত্র ১২ গোল দূরে নেইমার।
advertisement
হলুদ সবুজ জার্সিতে ১০৪ টি ম্যাচ খেলেছেন তিনি। ইকুয়েডরের বিরুদ্ধে সহজেই জিতল ব্রাজিল। এই নিয়ে যোগ্যতা অর্জন পর্বের খেলায় টানা ৫ টা ম্যাচ জয় পেল পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। প্রথমার্ধে অবশ্যই গোল হয়নি। ফিজিক্যাল ফুটবল খেলছিল ইকুয়েডর। কিন্তু ব্রাজিল ছন্দে থাকলে শারীরিক ফুটবলে তাঁদের আটকানো মুশকিল। দ্বিতীয়ার্ধে চাপ বাড়াতে থাকে ব্রাজিল । ৪-৩-৩ ফর্মেশনে দল নামিয়েছিলেন তিতে। আক্রমণভাগে বাঁদিকে নেইমার, ডান প্রান্তে রিচারলসন এবং মাঝখানে গ্যাব্রিয়েলকে রাখা হয়েছিল। মিডফিল্ড সামাল দিচ্ছিলেন লুকাস প্যাকেটা, ফ্রেড এবং ক্যাসেমিরো।
প্রান্তিক আক্রমণ করে ইকুয়েডর ডিফেন্সকে চাপে ফেলতে শুরু করে ব্রাজিল। ৬৫ মিনিটে নেইমারের বাড়ানো বল থেকে দলকে এগিয়ে দেন রিচারলসন। জোরালো শটে বিপক্ষ গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন এভারটন তারকা। ৯০ মিনিটের মাথায় পেনাল্টি পায় ব্রাজিল। নেইমারের শট বাঁচিয়ে দেন ইকুয়েডর গোলরক্ষক। কিন্তু রেফারি গোলরক্ষকের আগেই বেরিয়ে আসার কারণ আবার শট নিতে বলেন নেইমারকে। এবার আর ভুল করেননি পিএসজি তারকা। গোলরক্ষকের বাঁদিক দিয়ে বল পাঠিয়ে দেন জালে।
তবে গ্যাব্রিয়েল একাধিক সহজ সুযোগ না হারালে ব্রাজিলের জয়ের ব্যবধান বাড়তে পারত। দলের পারফর মেন্সে খুশি ম্যানেজার তিতে। তবে দল এখনও উন্নতি করার ক্ষমতা রাখে পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। ব্রাজিল একমাত্র দল যাঁরা প্রতিটা বিশ্বকাপেই কোয়ালিফাই করেছে। এবারও সেই ধারা অব্যাহত।
কাতারের মাটিতে পেলের দেশের হাতে বিশ্বকাপ উঠবে কিনা সময় বলবে। কিন্তু বর্তমান ব্রাজিল দলটা সমর্থকদের বুকে আশার সঞ্চার করছে। নেইমার কাতার বিশ্বকাপের সেরা ছন্দেই খেলতে যাবেন সন্দেহ নেই। বয়সের দিক থেকে বিচার করলে ব্রাজিল মহাতারকার কাছে এটাই বিশ্বজয়ের সেরা সুযোগ।