টুর্নামেন্ট শুরু হতে না হতেই বিজয়ীর চওড়া হাসিটা মুখে সেঁটে নিয়েছেন বলসোনারো। কিন্তু নেইমারের সে উপায় নেই। ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে আজ তাঁর যে অগ্নিপরীক্ষা শুরু হচ্ছে, ১০ জুলাই মারাকানায় ট্রফি উঁচিয়ে ধরতে না পারলে সেখানে তিনি ব্যর্থ বলেই বিবেচিত হবেন। আকারে-ইঙ্গিতে প্রশ্ন উঠেছিল নেইমারকে ছাড়াই কী তাহলে নামতে পারে না ব্রাজিল? সে প্রশ্নের জবাবটা দিতে হবে নেইমারকেই।
advertisement
দুর্দান্ত ফর্মে আছেন। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে সর্বশেষ তিন ম্যাচে করেছেন ৫ গোল। সত্যিকারের এক প্লে–মেকারের মতো সতীর্থদের দিয়েও গোল করাচ্ছেন। কিন্তু সে কথা টুর্নামেন্ট শুরু হলেই সবাই ভুলে যাবেন। ঘরের মাঠে কখনো কোপায় ব্যর্থ না হওয়া দলটি এবার অন্য কোনো ফল পেলেই দায়টা নেইমারের ওপরই যাবে। ২০১৮ বিশ্বকাপে চোট কাটিয়ে ফেরা নেইমার প্রাণভোমরা হতে গিয়ে উল্টো অতি নাটুকেপনায় সবাইকে বীতশ্রদ্ধ করে তুলেছেন, দলের ভারসাম্যও নষ্ট হয়েছে তাঁর কারণে।
২০১৯ সালে তাঁর অনুপস্থিতিতে ব্রাজিল একটা দল হয়ে খেলেছে। শুধু একজন মহাতারকার ওপর ভর না করে দলে থাকা অন্য প্রতিভাদের কাজে লাগিয়ে কোচ তিতে এনে দিয়েছিলেন কাঙ্ক্ষিত সাফল্য। দেশের হয়ে ট্রফি বলতে অলিম্পিক সোনা এবং কনফেডারেশন কাপ রয়েছে নেইমারের। এক বছর পর কাতারে বিশ্বকাপ খেলতে নেমে কী করবেন বলা মুশকিল। তার আগে ঘরের মাঠে মহাদেশ সেরার ট্রফি জিততে চেষ্টার কসুর করবেন না সেলেকাও মহাতারকা তাতে সন্দেহ নেই।
ব্রাজিল বনাম ভেনিজুয়েলা
ম্যাচের ভারতীয় সময় - রবিবার (আজ) রাত ২:৩০