তাই প্রথম ম্যাচে ভেনেজুয়েলাকে ৩-০ গোলে হারালেও উচ্ছ্বাসে ভেসে যেতে নারাজ তিনি। বরং দলের বিভিন্ন বিভাগের ভুলত্রুটি শুধরে দিতেই ব্যস্ত তিনি। অনুশীলনে ফরোয়ার্ডদের সঙ্গে বারবার কথা বলতে দেখা গেল তাঁকে। পেরুর বিরুদ্ধে ম্যাচে নেইমারদের থেকে উজ্জ্বলতর পারফরম্যান্স আশা করছেন ৬০ বছর বয়সি ব্রাজিলিয়ান কোচ। অনুশীলনে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করলেন তিতে। আপফ্রন্টে এভার্টন রিবেইরো ও গ্যাব্রিয়েল বারবোসাকে ব্যবহার করেছেন। পাশাপাশি পরখ করে নিলেন লুকাস পাকুয়েতা, রিচার্লিসন ও গ্যাব্রিয়েল হেসাসের বোঝাপড়াকেও।
advertisement
ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে রিজার্ভ বেঞ্চে ছিলেন ফারমিনো। তাঁর খেলার ধরন সম্ভবত তিতের স্ট্র্যাটেজির সঙ্গে খাপ খায় না। রাশিয়া বিশ্বকাপেও ফারমিনোকে সেভাবে ব্যবহার করা হয়নি। তাই পেরুর বিরুদ্ধে ম্যাচেও প্রথম একাদশে তাঁর ঠাঁই পাওয়া কঠিন। ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে ৪-৩-৩ ফর্মেশনে শুরু করেছিল ব্রাজিল। আপফ্রন্টে হেসাস, রিচার্লিসন ও নেইমারের উপর ভরসা রেখেছিলেন তিতে। পেনাল্টি থেকে গোল পেয়েছেন নেইমার। লক্ষ্যভেদের জন্য তিনিই প্রধান ভরসা ব্রাজিলের।
২০১৯ কোপা আমেরিকা ফাইনালে পেরুকে ৩-১ গোলে হারিয়েছিল ব্রাজিল। তবে বর্তমানের নিরিখে পেরুর সেই দল অনেক শক্তিশালী। নেইমারদের বিরুদ্ধে তারকা স্ট্রাইকার পাওলো গুয়েরোকে পাবে না তারা। কোপা আমেরিকা অভিযান শুরু করার আগে খুব ভাল একটা জায়গায় নেই পেরু। বিশ্বকাপ বাছাই পর্বেও ধারাবাহিকতার অভাব স্পষ্ট রিকার্ডো গ্যারেকার দলে।
পেরুর কোচ বলছেন, ‘ব্রাজিল দলের শক্তি নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। দেশের মাটিতে খেলার সুবিধা পাচ্ছে তিতে-ব্রিগেড। প্রতিপক্ষ দলে একাধিক ম্যাচ উইনার রয়েছে। তবে আমরা ক্ষমতা অনুযায়ী লড়াই করব।’ আগের ম্যাচে তিনটি গোলের পেছনেই ছিলেন নেইমার। ব্রাজিল কোচ জানিয়েছিলেন শারীরিক এবং মানসিক দিক থেকে সুস্থ থাকলে তাঁকে আটকানো মুশকিল। ভেনেজুয়েলা পারেনি। পেরু কী পারবে ? উত্তর মিলবে শুক্রবার ভোরে।
ব্রাজিল বনাম পেরু
ম্যাচ শুরু - শুক্রবার ভোর ৫:৩০