যাই হোক, যতক্ষণ শ্বাস, ততক্ষণ আশ। ক্যারিয়ারের শেষ কোপা আমেরিকায় আরও একটা সুযোগ পাচ্ছেন এলএমটেন। পারবেন কিনা উত্তর দেবে সময়। কিন্তু জীবন বাজি রেখে লড়াই করতে মরিয়া তিনি। ক্লাবের হয়ে জেতা সব ট্রফি ছেড়ে দিতে রাজি দেশের হয়ে একটা ট্রফি জয়ের জন্য। সেই লড়াই শুরু আজ রাত থেকে। প্রথমেই সামনে চিলি। নামটা শুনলেই যে কোনও আর্জেন্তাইন সমর্থকের বুকটা সামান্য হলেও কেঁপে ওঠে।
advertisement
২০১৫ ও ২০১৬ কোপা আমেরিকায় এই দেশটির কাছে টাই-ব্রেকারে হেরেই যে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল লিও মেসিদের। দু’বারই তাঁদের সামনে কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন গোলরক্ষক ক্লডিও ব্র্যাভো। তবে ভিদাল-স্যাঞ্চেজদের খেলায় সেই ধার আর নেই। গ্রুপ পর্বে খেলতে পারবেন না অ্যালেক্সিস সানচেজ। তাই সোমবার ফেভারিটের তকমা নিয়ে মাঠে নামছে আর্জেন্তিনা। আশা ভরসা সেই লিও মেসি। চলতি মাসেই বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বে একে অপরের মুখোমুখি হয়েছিল এই দুই লাতিন আমেরিকার দেশ। যেখানে ১-১ গোলে ড্র করে মাঠ ছেড়েছিলেন মেসিরা।
তবে হেড টু হেডের বিচারে চিলির চেয়ে অনেকটাই এগিয়ে আর্জেন্তিনা। এখনও পর্যন্ত ৯৩ বারের সাক্ষাতে তাদের কাছে ৬১টি বার বশ মেনেছে চিলিয়ানরা। জয় পেয়েছে মাত্র ৮টি। সাম্প্রতিক ফর্মের বিচারেও অনেকটাই এগিয়ে মেসিরা। শেষ ১৩টি আন্তর্জাতিক ম্যাচে অপরাজিত রয়েছেন তাঁরা। কোপার মঞ্চেও সেই ছন্দ বজায় রাখতে মরিয়া কোচ লায়োনেল স্কালোনি।
করোনা মুক্ত হয়ে চিলি দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন আর্তুরো ভিদাল, যা স্বস্তি দিয়েছে কোচ মার্টিন লাজার্তেকে। প্রথম থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে গোল তুলে নিতে চায় আর্জেন্টিনা। মেসির পাশাপাশি ডি মারিয়া এবং আগুয়েরো দলে থাকায় কিছুটা স্বস্তি বোধ করছেন কোচ স্কালোনি।
আর্জেন্টিনা বনাম চিলি
ম্যাচ শুরু (ভারতীয় সময়) রাত ২:৩০