দলটার। রাশিয়া বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ফ্রান্সের কাছে হেরে বিদায় নিতে হয়েছিল। নেইমারের ব্রাজিলকে দুর্দান্ত ফুটবলে হারিয়েছিল ডি ব্রুইন, লুকাকুরা।
এবার অবশ্য ইউরো কাপ শুরু হওয়ার আগে কিছুটা চাপে বেলজিয়াম। ইউরো ২০২০ এবং তার আগের ফিফা ওয়ার্ল্ড কাপ ২০২২ এ যোগ্যতা নির্ধারণ পর্বের ম্যাচগুলিতে বেলজিয়ামের দুই তারকা ফুটবলার হ্যাজার্ড এবং কেভিন ডি ব্রুইনকে নিয়ে ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে। যার জেরে কোচ মার্টিনেজের কপালে পড়েছে চিন্তার ভাঁজ। চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে রুডিগারের সঙ্গে ধাক্কা লাগলে মুখে চোট পান ডি ব্রুয়েন। সংঘর্ষের পর দেখা যায় তাঁর চোখের নীচে কালচে লাল দাগ হয়ে গেছে। এই কারণেই ডি ব্রুয়েনের খেলা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।
advertisement
"এখনও পর্যন্ত আমি শুধু এটাই বলতে পারি যে পরের সপ্তাহেই আমরা ডি ব্রুয়েন সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নিতে পারব। ততদিন ওর বিশ্রাম নেওয়া উচিত।" - এদিন বলেন মার্টিনেজ। তিনি আরও বলেন "ও ইউরোতে খেলতে পারে। কিন্তু কবে থেকে সেটা বলা সম্ভব নয়। আমরাও এখন সেটা জানি না। এখন এসবের উত্তর খুব তাড়াহুড়ো করে দেওয়া একদম উচিৎ নয়। আমাদের মেডিক্যাল টিমের থেকে সবুজ সংকেত পেতে হবে আগে।" ডি ব্রুয়েন প্রসঙ্গে বলেন মার্টিনেজ।
মূলত ইউরোর আগেই বেলজিয়াম জাতীয় দলের সঙ্গে যোগ দেওয়ার কথা ছিল ডি ব্রুয়েনের। কিন্তু চোটের কারণে সবই এখন অনিশ্চিত। এই স্টার ফুটবলারের অনুপস্থিতি কতটা ভোগাবে বেলজিয়ামকে এই ইউরোতে? এই প্রসঙ্গে মার্টিনেজ বলেন "ও এখন রিকভার করছে পুরো মরশুমের ধকল থেকে। কিন্তু ওর ক্ষেত্রে প্রতিদিন খুব গুরত্বপূর্ণ।আমরা ওর সঙ্গে যোগাযোগের মধ্যে আছি।"
একই অবস্থা বেলজিয়াম ফুটবল দলের অধিনায়ক এবং রিয়াল মাদ্রিদ তারকা ইডেন হ্যাজার্ডের।পুরো মরশুমে চোট আঘাতে জর্জরিত তিনি। গোটা মরশুমে ২০টা ম্যাচ খেলেছেন তিনি। গোল করেছেন ৩টি। গ্রিসের বিরুদ্ধে ম্যাচে তাঁকে নামানো হয়নি। ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধে নামানো নিয়েও দ্বিধায় আছেন কোচ। তবে মনে করা হচ্ছে শেষ কিছু সময়ের জন্য হ্যাজার্ডকে নামানো হতে পারে। সবচেয়ে বড় কথা হ্যাজার্ড এবং ডি ব্রুইন দুজনেই ক্রিয়েটিভ ফুটবলার। খেলা তৈরিতে পারদর্শী। আবার গোল করতেও দক্ষ। শেষপর্যন্ত যদি দুজনেই ছিটকে যান, তাহলে কিন্তু ব্যাকফুটে চলে যাবে রেড ডেভিলস ব্রিগেড।