তাদের বিধি-নিষেধের কারণে সব ভেস্তে গেল। এমন একটি মুহূর্তের জন্য মোটেও প্রস্তুত ছিলেন না মেসি। তবে মেসি পিএসজিতে যাক, এটা যেন কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না বার্সেলোনা কর্মকর্তারা। তারা চান না মেসি অন্য কোনো ক্লাবে যোগ দিক। পিএসজিতে তো নয়ই। এ জন্য ইউরোপিয়ন কমিশনের কোর্ট অব অ্যাপিলের কাছে রীতিমত মামলা দায়ের করে বসে আছেন তারা।
advertisement
সেখান থেকেই তারা জানতে পারছে, ফাইনান্সিয়াল ফেয়ার প্লে’র যে নিয়ম রয়েছে, সে কারণে পিএসজিও হয়তো বা মেসিকে দলে নিতে পারবে না। মার্কা লিখেছে, ‘অভিযোগে বলা হয়েছে ফাইনান্সিয়াল ফেয়ার প্লে’র নিয়ম অনুযায়ী বার্সার চেয়েও বাজে অবস্থা পিএসজির। ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে নিজেদের বাার্ষিক যে আয় পিএসজির তার ৯৯ ভাগই খরচ করা হয় খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক দিতে। সেখানে বার্সার ব্যায় মাত্র ৫৪ ভাগ।’
৫৪ শতাংশ অনুপাত নিয়েও বার্সেলোনা যেখানে মেসিকে ধরে রাখতে পারছে না, পিএসজি কী করে পারে সেই মেসিকে আকাশচুম্বী বেতন দিয়ে দলে নিতে? অভিযোগ দায়ের করার পর বার্সেলোনার সেই সদস্য এখন আশায় আছে বার্সেনোলা যে কারণে পারেনি, পিএসজিও ঠিক একই কারণে মেসিকে দলভূক্ত করতে ব্যর্থ হবে। তার গুরুতর অভিযোগ হচ্ছে, প্যারিসের ক্লাবটি অতিরিক্ত ব্যায়ের কারণে প্রতিদ্বন্দ্বীতা ধ্বংস হয়ে গেছে।
এবারের মরশুমে ইউরোপের বাতাসে টাকা উড়াচ্ছে পিএসজি। আগেই তারা জর্জিনিও উইজনালডাম, সার্জিও রামোস, আশরাফ হাকিমি, জিয়ানলুইজি ডোনারুম্মার মতো খেলোয়াড়দের দলে টেনেছে। আগে থেকেই দলে রয়েছেন নেইমার, কিলিয়ান এমবাপ্পে, মার্কো ভেরাত্তি, মাউরো ইকার্দি, মার্কুইনহোস, অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়ারা তো আছেনই।
এবার মেসি যোগ দিলে পিএসজির শক্তি এক কথায় অন্য মাত্রায় পৌঁছোবে। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় এই খবর জানার পর বার্সেলোনা ক্লাবের নিন্দায় মুখর ফুটবল সমর্থকরা। গত কুড়ি বছর ধরে যে ফুটবলার তাঁদের জন্য সবকিছু উজাড় করে দিয়েছে, আজ তাঁর ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত করতে ক্যাটালান ক্লাবের এমন ব্যবহার অত্যন্ত নিন্দনীয় মনে করছে সকলে।