সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে চলতি ইউরো কাপে খেলা ফিনল্যান্ডের সেন্ট্রাল মিডফিল্ডার জনি কাউকোকে নিয়ে আসতে চলেছে গতবারের রানার্স দল। শোনা যাচ্ছে ইউরো কাপের মাঝেই এই মিডফিল্ডারের এজেন্টের সঙ্গে একপ্রস্থ কথা বলেছেন এটিকে মোহনবাগানের কর্তারা। প্রতিযোগিতা শেষ হলে কাউকোর সঙ্গে আরও একবার আলোচনা করবেন কর্তারা। এমনটাই জানা গিয়েছে। গত মরসুমে চোটের জন্য অনেক ম্যাচ খেলতে পারেননি মিডফিল্ডার জাভি হার্নান্দেস। এই স্প্যানিশকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁর জায়গায় ফিনল্যান্ডের জাতীয় দলের মিডফিল্ডারের খেলার সম্ভাবনা।
advertisement
দলের প্রয়োজনে অ্যাটাকিং মিডফিল্ড ও বাঁ দিক থেকেও খেলতে সক্ষম কাউকো। আপাতত রয় কৃষ্ণ ও তিরিকে দলে রেখেছেন মুখ্য প্রশিক্ষক আন্তোনিও লোপেজ হাবাস। জানা গিয়েছে কার্ল ম্যাকহিউ, ডেভিড উইলিয়ামস ও এদু গার্সিয়াকেও রাখতে চাইছে না সবুজ-মেরুন শিবির। চলতি ইউরো কাপে বেশ ভাল ছন্দে আছেন কাউকো। প্রয়োজনে গোল করতেও পারেন। জাতীয় দলের হয়ে এখনও পর্যন্ত ২৭টি ম্যাচ খেলেছেন। ২০০৬ সালে অনূর্ধ্ব ১৬ দলে সুযোগ পান। এরপর অনূর্ধ্ব ১৮,১৯,২১-এ ভাল ফুটবল খেলার সুবাদে ২০১২ সাল থেকে সিনিয়র দলে খেলছেন এই মিডফিল্ডার।
পাশাপাশি মাত্র ১৮ বছর বয়স থেকে চুটিয়ে ক্লাব ফুটবলে খেলছেন। ইন্টার টুর্কু থেকে ক্লাব ফুটবল খেলতে শুরু করেছিলেন। এরপর এফএসবি ফ্রাঙ্কফুর্ট, রেন্ডার্সে খেলছেন। ২০১৮ থেকে খেলছেন এসবার্গের মতো ক্লাবে। সেখানে ৮১ ম্যাচে ইতিমধ্যেই ২১টি গোল করে ফেলেছেন কাউকো। তবে সুইডেনের দ্বিতীয় ডিভিশনের এই ক্লাব থেকে চলতি মাসেই রিলিজ পেয়েছেন কাউকো।
তাই শেষপর্যন্ত হাবাসের দলে সই করলে তিনি জাভি হার্নান্দেসের জায়গায় খেলবেন। গতবার কিছু বিদেশি ফুটবলার দীর্ঘ সময় বাইরে বসে থাকায় মূল্য চোকাতে হয়েছিল দলকে। যদিও চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে জোড়া সাক্ষাতেই জিতেছিল সবুজ মেরুন। কিন্তু স্প্যানিশ ম্যানেজার অন্তনিও লোপজ হাবাস আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে যেতে চান দলকে। সেই লক্ষ্যেই এবার ঝাঁপিয়ে পড়েছেন দল গঠনের দায়িত্বে থাকা কর্তারা। গতবারের তুলনায় বিদেশি সংখ্যা কমবে আইএসএলে। তাই ধীরেসুস্থে এগোতে চায় সবুজ মেরুন ব্রিগেড।