এফসি কাপ টুর্নামেন্ট নিয়ে ভীষণ সিরিয়াস তিনি। কার্যত লকডাউনের জন্য গত এক সপ্তাহে কলকাতায় করোনার প্রকোপ কিছুটা কমেছে। এই অবস্থায় আগস্টের তৃতীয় সপ্তাহে এএফসি কাপের খেলা কলকাতায় করতে চাইছে এটিকে মোহন বাগান। বিধিনিষেধ উঠে গেলেই এই ব্যাপারে সরকারের অনুমতির জন্য ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের দ্বারস্থ হবে সবুজ-মেরুন টিম ম্যানেজমেন্ট। উল্লেখ্য, দু’বার এএফসি কাপের খেলা পিছিয়ে দিয়েছে এএফসি। এটিকে মোহন বাগান জানুয়ারির গোড়ায় এই প্রতিযোগিতার ম্যাচ আয়োজনের জন্য আবেদন করেছিল। কিন্তু অনুমতি পায়নি।
advertisement
আসলে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচ সংগঠনের দায়িত্ব পেয়েছিল এফসি গোয়া। তাই এএফসি কাপের দায়িত্ব দেওয়া হয় মালদ্বীপকে। কিন্তু সেই দেশে এএফসি কাপের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ করতে গিয়ে ল্যাজে-গোবরে হয়েছে এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন। তাই মালদ্বীপে ম্যাচ আয়োজনের ভাবনা নেই। ঢাকায় ম্যাচ আয়োজনে আগ্রহী নয় গ্রুপের অপর ক্লাব বসুন্ধরা এফসি। বেঙ্গালুরু এফসি এখনও মূলপর্বে যোগ্যতা অর্জন করেনি। তাদের প্লে-অফ ম্যাচ বাকি। তাই তাঁরা আবেদন করার জায়গায় নেই।
প্রতিযোগিতা আগস্টে পিছিয়ে যাওয়ায় অমরিন্দার সিং, লিস্টন কোলাসো, আশুতোষ মেহতাদের ওই টুর্নামেন্টের জন্য পাবে এটিকে মোহনবাগান। সেপ্টেম্বরের শেষে কিংবা অক্টোবরের প্রথমে আইএসএল শুরু হওয়ার আগে দল গুছিয়ে নেওয়ার সুযোগ পাবেন কোচ হাবাস। জৈব বলয়ে থেকে তাই কলকাতায় খেলতে রাজি স্প্যানিশ কোচ। এদিকে, আসন্ন মরশুমে ছ’জন বিদেশি নেওয়ার ছাড়পত্র দিয়েছে আইএসএল। তিরি, রয় কৃষ্ণা, ডেভিড উইলিয়ামসকে রাখা হচ্ছে।
এছাড়াও একজন করে বক্স স্ট্রাইকার এবং ডিফেন্সিভ ব্লকার রিক্রুট করার পরামর্শ দিয়েছেন সবুজ-মেরুনের হেডস্যার। সব মিলিয়ে নতুন বছরের জন্য সঠিক লক্ষ্যে এগোচ্ছে সবুজ মেরুন ব্রিগেড। সময় নিয়ে ফুটবলার রিক্রুট করা হচ্ছে। গতবারের ভুল আর করতে রাজি নন হাবাস।প্রতিটা পদক্ষেপ বুঝে ফেলতে চান তিনি। ঘরের মাঠে খেলা হলে প্রত্যাশা থাকবে বেশি। তবে এটা অতিরিক্ত চাপ মনে করেন না স্প্যানিশ কোচ।