বার্সা থেকে তাঁকে প্রায় তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। লুইস সুয়ারেজ কিন্তু বার্সাকে ভালবেসে ফেলেছিলেন। তিনি একটা সময় আর্জি জানিয়েছিলেন, দরকার হলে তিনি সাইড বেঞ্চে বসে থাকবেন। তাও তাঁকে যেন ন্যু ক্যাম্পে থাকতে দেওয়া হয়। কিন্তু কোচ রোনাল্ড কোম্যান জানিয়ে দেন, তিনি যে দল সাজিয়েছেন তাতে সুয়ারেজের প্রয়োজন নেই। ফলে কার্যত বাধ্য হয়েই বার্সা ছাড়েন উরুগুয়ের তারকা। চোখের জলে বিদায় জানান প্রিয় দলকে। ৬ বছর ছিলেন ন্যু ক্যাম্পে। মায়া কাটানো সহজ ছিল না তাঁর পক্ষে। তবে লা লিগা ছাড়েননি তিনি। অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদে যোগ দেন সুয়ারেজ। বার্সা থেকে বিতাড়িত সুয়ারেজ হয়ে ওঠেন অ্যাটলেটিকোর হিরো। সত্যিই, সময়ই হয়তো শেষ কথা বলে। সুয়ারেজ এদিন আবেগ ধরে রাখতে পারলেন না। ম্যাচ শেষে ভিডিও কলে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলার সময় অঝোরে কেঁদে ফেললেন।
advertisement
বার্সেলোনা থেকে বিতাড়িত সেই সুয়ারেজ অ্যাটলেটিকোতে যোগ দিয়ে প্রথম মরশুমেই দলকে উপহার দিচ্ছেন লা লিগা খেতাব। লা লিগায় অ্যাটলেটিকোর হয়ে ৩১ ম্যাচে ২০ গোল করেছেন তিনি। গোটা মরশুমে দুরন্ত খেললেন। এমনকী লিগের শেষ ম্যাচেও জয়সূচক গোল তাঁর পা থেকেই এল। অস্কার প্লানোর গোলে ১-০ তে এগিয়ে যায় ভায়াদোলিদ। বিরতির পর আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়ায় অ্যাটলেটিকো। অ্যাঞ্জেল কোরিয়ার গোল করে সমতা ফেরান। এর পর লুইস সুয়ারেজের গোলে জয় নিশ্চিত করে দিয়েগো সিমিওনের দল। স্প্যানিশ ফুটবলে এখন প্রশ্ন উঠছে, সুয়ারেজ বার্সায় থাকলে পরিস্থিতি কী হতে পারত? লিওনেল মেসি ৩৫ ম্যাচে করেছেন ৩০টি গোল। তাঁর সঙ্গে সুয়ারেজের ২০ গোল যোগ হলে হতে পারত ৫০ গোল। আরও কয়েকটি ম্যাচ জিতে খেতাবের কাছে কি যেতে পারত বার্সেলোনা? এবারের মরশুমে সেল্টা ভিগোর মতো দলের কাছে হেরেই শিরোপা জয়ের স্বপ্ন শেষ হয়ে যায় বার্সেলোনার।