আগামী মঙ্গলবার দুর্বল হাঙ্গেরির বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে রোনাল্ডোদের ইউরো অভিযান শুরু হবে। ২০০৪ ইউরোতে ঘরের মাঠে ফাইনালে গ্রিসের কাছে ১-০ গোলে হেরে কেঁদে ভাসিয়েছিলেন ১৯ বছর বয়সী তরুণ। এবার নাকি সেই ১৭ বছর আগের উৎসাহ ফিরে পেয়েছেন, 'অনুপ্রেরণা পাচ্ছি, সম্ভবত ২০০৪ সালের চেয়েও বেশি। পর্তুগিজ সমর্থকেরা সবসময় এই প্রত্যাশা রাখতে পারেন, আমাদের দলে উচ্চাশা ও অনুপ্রেরণার কোনো ঘাটতি নেই। সবকিছু যেন ঠিকঠাক হয়, সে জন্য ইতিবাচক মানসিকতা ধরে রেখেছি আমরা। দল ও সব পর্তুগিজ সমর্থকদের এই বিশ্বাস রাখতে হবে ,বলছেন তিনি।
advertisement
সিরি আ লিগের সর্বশেষ মরশুমে সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছেন। ইজরায়েলের বিপক্ষে পর্তুগালের সর্বশেষ প্রীতি ম্যাচেও গোল পেয়েছেন। তাই নিজেকে আর দলকে নিয়ে আত্মবিশ্বাসী সিআর সেভেন, 'অধিনায়ক (রোনাল্ডো) ভালো আছেন। কোচিং স্টাফ ও সতীর্থদের নিয়ে ভালো খেলার চেষ্টা করছি। এখন এটাতেই আমাদের মনোযোগ। প্রস্তুতি নেওয়া মোটামুটি শেষ। দু-একটি জায়গায় একটু ঘষামাজা করতে হবে। হাঙ্গেরিকে হারিয়ে পর্তুগালের শুভ সূচনা দেখতে মুখিয়ে আছি।'
পর্তুগালের এই দলটার সবচেয়ে বড় প্লাস পয়েন্ট একাধিক পজিশনে বেশ কয়েকজন ভাল ফুটবলার রয়েছে। ব্রুনো ফার্নান্দেজ থেকে শুরু করে বার্নাড সিলভা, জোটা এবং আরও কয়েকজন। কোচ ফার্নান্ডো দলটাকে হাতের তালুর মতো চেনেন। গতবারের চ্যাম্পিয়ন বলে এবার অতিরিক্ত চাপ নিতে রাজি নয় পর্তুগাল।
এমনকি নিজেদের গ্রুপে চারবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন জার্মানি এবং দু'বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স থাকলেও, ভয় পেতে নারাজ পর্তুগাল। অধিনায়ক রোনাল্ডো সকলকে উজ্জীবিত করছেন। হাতে তিন দিন সময়। মঙ্গলবার প্রথম পরীক্ষা হাঙ্গেরির বিরুদ্ধে। টিম স্পিরিট এবং লড়াকু মানসিকতায় রোনাল্ডো এবং পর্তুগাল বাজিমাত করতে পারি কিনা সেটাই দেখার।