সেই স্ক্রিনশট অনুযায়ী, সাংবাদিকটি ঋদ্ধিমানকে লিখছেন, ''আপনি আমাকে একটি ইন্টারভিউ দিন। সেটা ভালো হবে। কিন্তু আপনি যদি গণতান্ত্রিকতার তত্ত্বে বিশ্বাস করেন, তাহলে আমি আপনাকে জোর করব না। ওরা একজন উইকেটকিপারকে বেছে নিয়েছে, আপনি চেষ্টা করুন ১১ জন সাংবাদিককে বেছে নিচ্ছেন, আমার মতে যারা সেরা নন। তাঁকেই বেছে নিন, যিনি আপনাকে সবচেয়ে বেশি সাহায্য করতে পারবেন।''
advertisement
এরপর ওই সাংবাদিক ফোনও করেন ঋদ্ধিমানকে। কিন্তু তা ধরেননি তিনি। এরপরই রীতিমতো ক্ষোভে ফুসে ওই সাংবাদিক ঋদ্ধিমানকে লেখেন, ''আপনি কল করবেন না। আমি আর আপনার ইন্টারভিউ করব না। আমি অপমান সহ্য করতে পারি না। আর আমি এটা মনে রাখব। আপনার এটা করা উচিৎ হল না।''
আরও পড়ুন: 'দাদা বলেছিল আমি যতদিন আছি চিন্তা করতে হবে না', বাদ পড়ে বিস্ফোরক ঋদ্ধিমান
এই কথোপকথনের স্ক্রিনশট শেয়ার করে ঋদ্ধিমান লিখেছেন, ''ভারতীয় ক্রিকেটে আমার সব অবদানের পরেও..একজন তথাকথিত "সম্মানিত" সাংবাদিকের কাছ থেকে আমি যা পেলাম! এখানেই সাংবাদিকতা চলে গেছে!'' শনিবার শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ভারতের ১৮ জনের যে টেস্ট টিম ঘোষণা হয়েছে, তাতে নাম নেই ঋদ্ধির। ঋদ্ধির বদলে দলে ঢুকেছেন কেএস ভরত।
আরও পড়ুন: পর্দার ঝুলন গোস্বামী হতে হাড়ভাঙা পরিশ্রম অনুষ্কার, চাকদা এক্সপ্রেস-এর প্রস্তুতি তুঙ্গে
ভরতকে পছন্দ করেন দ্রাবিড়। ঋষভ পন্তের সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেটকিপার হিসেবে রাখা হল ভরতকে। এর পরেই ঋদ্ধি বলেন, ‘এখন বলতে আর অসুবিধে নেই, রাহুল ভাই আমাকে বলেছিলেন, ভবিষ্যতে আমাকে আর ভারতীয় টিমের জন্য ভাবা হবে না। দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের সময়ে আমাকে আকার-ইঙ্গিতে অবসর নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। তবে এটা আমার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। যত দিন শরীর দেবে, খেলব।’ এর সঙ্গেই বাংলার উইকেটকিপার-ব্যাটার আরও বলেন, ‘নির্বাচক চেতন শর্মাও বলেছিলেন, আর তোমাকে ভারতীয় দলে নেওয়া হচ্ছে না। অনেকেই এমন আছে, যাদের বয়স হয়েছে, তবু খেলছে। নির্বাচকরা হয়তো ভেবেছেন, আমাকে বাদ দিয়ে নতুন কাউকে দেখে নেওয়া উচিত। নতুন প্রতিভা দেখে নিতে চাইছে হয়তো।’ কিন্তু এরপরই সৌরভের থেকে বড় আশ্বাস পেয়েছিলেন তিনি। এমনটাই দাবি করেছেন ঋদ্ধিমান। কিন্তু সেই কথা আর দিনের আলো দেখেনি বলেই দাবি ঋদ্ধিমানের।
