এদিন ডর্টমুন্ডে মেগা সেমিফাইনালে ম্যাচের শুরু থেকেই রক্ষণ সামলে, একটু দীর গতির ফুটবল খেলে আক্রমণে যাওয়ার চেষ্টা করছিল গ্যারেথ সাউথগেটের দল। অপরদিকে, শুরু থেকেই আক্রমণের ঝড় তোলার চেষ্টা করে ডাচরা। যার সুবাদে ম্যচের প্রথম সাত মিনিটেই গোলের মুখ খুলে ফেলে নেদারল্যান্ডস। জাভি সিমন্স কার্যত একক দক্ষতায় গোল করে এগিয়ে দেন দলকে।
advertisement
যদিও ম্যাচে সমতা ফেরাতে বেশি সময় নেয়নি ইংল্যান্ড। ম্যাচের ১৭ মিনিটে পেনাল্টে থেকে গোল করে দলকে সমতায় ফেরান অধিনায়ক হ্যারি কেন। সাকার শট ডাচ রক্ষণে প্রতিহত হয়ে গিয়ে পড়ে হ্যারি কেনের সামনে। ফের শট নেন ইংরেজ অধিনায়ক। সেই বল ট্যাকেল করতে গিয়ে লক্সে ফাউল করে বসেন ডেঞ্জিল ডামফ্রিস। ভার-এর সাহায্য়ে পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেয় রেফারি। গোল করতে ভুল করেননি হ্যারি।
ম্যাচের প্রথমার্ধের খেলা শেষ হয় ১-১ গোলে। দ্বিতীয়ার্ধে দুই দল অনেকটা নির্বিষ ফুটবল খেলছিল। তবে বাজিমাত করে যান ইংল্যান্ড কোচ সাউথগেট। তাঁর দুটি চালেই ফাইনালের দরজা খুলে যায় ইংল্যান্ডের জন্য। হ্যারি কেন ও ফিল ফডেনের মত তারকাকে তুলে নিয়ে নামান অলি ওয়াটকিন্স ও কোল পামারকে। ব্যাস সেখান থেকেই ফের ছন্দে ফিরতে থাকে ব্রিটিশরা। ম্যাচের ৯০ মিনিটে ওয়াটকিন্সের গোলেই জয় পায় ইংল্যান্ড।
আরও পড়ুনঃ Cricket Quiz: ক্রিকেটের ইতিহাসে প্রথম ছয় কে মেরেছিল? উত্তর জানলে আপনি জিনিয়াস
প্রসঙ্গত, গতবারও ইউরো ফাইনালে উঠেছিল ইংল্যান্ড। ফাইনালে হারতে হয়েছিল ইতালির বিরুদ্ধে। ইউরো জয়ের স্বাদ এখনও জোটেনে ব্রিটিশ লায়ন্সদের ভাগ্যে। একইসঙ্গে ১৯৬৬ সালের বিশ্বকাপ জেতার পর এখনও আন্তর্জাতিক ট্রফির খরা অব্যাহত ইংল্যান্ডের। এবার সেই খরা কাটাতে মরিয়া সাউথগেট বাহিনি।