টিকিটের সংখ্যা নির্দিষ্ট। অথচ চাহিদা বেড়েই চলেছে। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে দামও। বাড়তে বাড়তে কালোবাজারে এক জোড়া টিকিটের দাম হয়েছে আসল দামের ২৮ গুণ বেশি। ইংল্যান্ড-ফ্রান্স কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচের সব থেকে কম মূল্যের এক জোড়া টিকিটের দাম ১৭৫ পাউন্ড বা ১৭ হাজার ৬০০ টাকা।
advertisement
সেই টিকিটই কাতারে বিকোচ্ছে ৫ হাজার পাউন্ড বা ৫ লাখ টাকারও বেশি দিয়ে। কাতারের আইন অনুযায়ী কালোবাজারি নিষিদ্ধ। বিশ্বকাপের টিকিট বিক্রির অধিকার রয়েছে এক মাত্র ফিফার। কালোবাজারি বন্ধ করতে কাতার পুলিশ, বিশ্বকাপের আয়োজকরা এবং ফিফা যৌথ ভাবে নাগাড়ে প্রচার চালাচ্ছে।
অনেকেই আগে থেকে টিকির কেটে রেখেছিলেন। যাঁরা কেটে রাখেননি, তাঁরা পড়েছেন সমস্যায়। আগে টিকিট কেটে রেখেছিলেন অথচ তাঁদের প্রিয় দল শেষ আটে উঠতে পারেনি, সে রকম অনেকে সুযোগ কাজে লাগাচ্ছেন। কিন্তু কে কার কথা শুনে? কালোবাজারি থামার নাম নেই।
তুলনায় বরং ফরাসি সমর্থকদের মধ্যে টিকিটের চাহিদা কম। ইংরেজ সমর্থকরা বিশ্বাস করতে শুরু করেছেন টুর্নামেন্টের অন্যতম সেরা এবং গতবারের চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সকে হারানোর ক্ষমতা আছে তাদের। মাঠের লড়াইয়ে অবশ্য শেষ পর্যন্ত কোন দল বাজিমাত করে সেটা দেখা যাবে কাল। কিন্তু এই ম্যাচ ঘিরে টিকিটের দাম এতখানি চড়বে সেটা কেউ আশা করেননি।