কারণ, শুরুটা বেশ ভালই হয়েছিল। হঠাৎ করে একটা শ্রীলঙ্কা ম্যাচে সব অঙ্ক উল্টে গিয়েছে। একটা বুড়ো মালিঙ্গাই ব্যাকফুটে ঠেলে দিয়েছে মর্গ্যানের ফেভারিট ইংল্যান্ডকে। ঘরের মাঠে বিশ্বের এক নম্বর দলের বিশ্রী হারে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তাই পরিষ্কার লর্ডসে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে পিছিয়ে থেকেই শুরু করছে ইংল্যান্ড। নেটে ব্যাট করলেও এই ম্যাচেও নেই জেসন রয়। খবর যা তাতে, ভারতের বিরুদ্ধেই হয়তো ফিট হবেন তিনি। তাই ভরসা বলতে বল হাতে সেই জোফ্রে আর্চার। পনেরো উইকেট নিয়ে বারবাডোজের এই ক্রিকেটার এবারের ইংল্যান্ডের চমক। মর্গ্যানের আস্থার নাম বেয়ারস্ট্রো থেকে স্টোকস।
advertisement
স্বস্তিতে অবশ্য অস্ট্রেলিয়া। ভারতের কাছে একটি ম্যাচে হারা ছাড়া আর কিছুই হারাননি বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। পাঁচ বছর আগে তাঁর বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে উড়ে গিয়েছিল ইংল্যান্ড বোলিং। তাই অস্ট্রেলিয়া দল তাকিয়ে অধিনায়ক অ্যারোন ফিঞ্চের দিকে। রানে ফিরেছেন ওয়ার্নার। এই বিশ্বকাপের টপ স্কোরারের ব্যাট চলছে টপ গিয়ারে। নির্বাসন ভেঙে ছন্দে স্মিথ। জাস্টিন ল্যাঙ্গার এই ম্যাচে বাকি কাজটা করাতে চান বোলারদের দিয়ে। স্টইনিস-স্টার্ক-কামিন্সরা তৈরি আগুন ঝড়ানোর জন্য।
আবহাওয়া বলছে অ্যাসেজ। মঞ্চের নাম বিশ্বকাপ। ভবিষ্যতের ধোনি হতে পারেন জস বাটলার। বলছেন ল্যাঙ্গার। স্মিথকে কেউ আওয়াজ দেবেন না। সমর্থকদের কাছে অনুরোধ বেয়ারস্ট্রোর। ম্যাচের আগে এইসব টুকরো ছবি। আগুন আজ অনেক কম। তবুও বিশ্ব ক্রিকেটে ইংল্যান্ড বনাম অস্ট্রেলিয়া মানে এখনও স্বপ্ন। সেই স্বপ্নের ম্যাচে অপেক্ষায় ক্রিকেটের আঁতুর ঘর লর্ডস।