একই সঙ্গে কোচ স্টিভন কনস্ট্যান্টাইন-সহ অধিকাংশ ফুটবলারকে ছেঁটে ফেলার দাবিতেও সরব লাল-হলুদ সমর্থকরা। স্টিভনের ভবিষ্যৎ যে সঙ্কটে, তা তিনি নিজেও বুঝেছেন। সুপার কাপে ভাল ফল না হলে বিদায় কার্যত নিশ্চিত। শনিবার রাতে যুবভারতীতে দাঁড়িয়ে তিনি বলছিলেন, সুপার কাপ পর্যন্ত আমার সঙ্গে চুক্তি রয়েছে ইস্টবেঙ্গলের।
আরও পড়ুন - বুমরাহর আইপিএল খেলাও অনিশ্চিত! বিশ্বকাপের আগে নাও ফিরতে পারেন ভারতের জার্সিতে
advertisement
ওরা আমাকে রাখার আগ্রহ দেখালেও সরকারি ভাবে কিছুই জানায়নি। দলের বেশ কয়েকজন ফুটবলার নাকি ঘনিষ্ঠমহলে জানিয়ে রেখেছেন, তিনি দায়িত্বে থাকলে তাঁরা দল ছাড়বেন।প্রশ্ন হচ্ছে আগামী মরসুমেও ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষ্যে কী পরিকল্পনা রয়েছে ইস্টবেঙ্গলের লগ্নিকারী সংস্থার? আইএসএলের অধিকাংশ দলই ফুটবলারদের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি করেছে।
জানুয়ারি মাসে লোনে নেওয়া ফুটবলারদের ক্ষেত্রেও একই পথ অনুসরণ করেছে তারা। তাই পরিস্থিতি ঘেঁটে ঘ। এদিকে বড় ম্যাচে এরকম ইস্টবেঙ্গলের ফাঁকা গ্যালারি অতীতে কবে দেখা গিয়েছে কেউ জানে না। ডার্বি বয়কট শুধুমাত্র ইনভেস্টার সংস্থার বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা নাকি আগে থেকেই ডার্বি হারের ভয়! প্রশ্ন সেই জায়গাতেই উঠছে।
তাই ইস্টবেঙ্গলের এক শীর্ষ কর্তা জানিয়ে দিয়েছেন পরেরবার যদি বর্তমান ইনভেস্টার সংস্থা দল করে তাহলে পয়সা খরচ করে ভাল দল করতে হবে। শুধু মাঠে নামানোর মত ১১ জন ফুটবলার নিলেই হবে না। ইস্টবেঙ্গলে খেলার মত যোগ্য ফুটবলার নিতে হবে। ভাল বাঙালি ফুটবলার বেশি করে নিতে হবে। স্টিফেন কেন সৌভিক চক্রবর্তী, তুহিন দাস, অনিকেতদের মতো ফুটবলারদের বেশি নিচ্ছেন না দলে সেই প্রশ্ন তুলছেন সবাই।