স্প্যানিশ ম্যানেজার দুর্দান্ত একটা দল হাতে পেয়েছেন এমনটা বলা যাবে না। কিন্তু এই ইস্টবেঙ্গল দলটা গত দুবারের থেকে অনেক ভাল সেটা বলাই যায়। ভারতীয় এবং বিদেশি ফুটবলাররা তাড়াতাড়ি চেষ্টা করেছেন মানিয়ে নিতে। কম্বিনেশন এবং কোচের প্ল্যানিংয়ের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া সহজ ছিল না। কিন্তু এটাই কোচের কৃতিত্ব তিনি অল্প সময় দলটাকে মোটামুটি দাঁড় করাতে পেরেছেন।
advertisement
একজন বড় ম্যানেজারের এটাই গুণ। বিশেষ করে নর্থইস্ট ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে ম্যাচের শেষ পর্যন্ত পিছিয়ে থেকেও দু মিনিট আগে গোল শোধ করে যেভাবে ফিরে এল ইস্টবেঙ্গল, তাতে প্রমাণ হয় এই দলটা নাছোড়বান্দা। শেষ পর্যন্ত লড়াই করার সাহস আছে। প্রাক্তন ফুটবলার রহিম নবি বলছিলেন, কার্লোস মাস্টার স্ট্রোক দিয়েছেন সিলভা, বোরহাকে পরে নামিয়ে।
এই দুজন নামার পরেই ইস্টবেঙ্গল খেলায় ফেরে। সৌভিক প্রচুর ভুল করেছিলেন। ফাইনালেও তাকে পাওয়া যাবে না কার্ড সমস্যায়। তবে গোয়া অথবা মোহনবাগান ফাইনালে যে দল উঠুক, এই ইস্টবেঙ্গলের মধ্যে কিন্তু চ্যাম্পিয়ন হওয়ার খিদে দেখতে পাচ্ছেন প্রাক্তন ফুটবলার প্রশান্ত চক্রবর্তী। বিকাশ পাঁজিও মনে করেন টেকনিক্যালি দলটা উন্নতি করেছে অনেক। ডিফেন্সে এখনও ইস্টবেঙ্গলের অনেক ভুল ভ্রান্তি আছে। সেগুলো ফাইনালে যাতে না হয় তার জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে।