এবার মরশুমের অনেক আগে থেকেই দল গুছিয়ে নিয়েছিল মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। সবুজ-মেরুণের মাঝ মাঠ যে প্লেয়াররা রযেছে তারা নিজেদের দিনে একাই ম্যাচের ভাগ্য বদলাতে সক্ষম। বাগান মাঝমাঠের প্রধান স্তম্ভ হল হুগো বুমৌস। বল ধরে খেলা, ডিফেন্স চেরা পাস, গোল করার দক্ষতা সব দিক থেকেই ফুল মার্কস প্রাপ্য হুগোর। ভারতী। ফুটবলের খেলার অভিজ্ঞতাও তার যথেষ্ট।
advertisement
এছাড়া বুমৌসের পাশে পাবেন ভারতীয় দলের মিডফিল্ডার অনিরুদ্ধ থাপাকে। দলের দুই উইঙ্গারের ভূমিকায় দেখা যাবে লিস্টন কোলাসো ও সাহাল আব্দুল সামাদকে। ফলে এই চার নামই বলে দিচ্ছে তারা কতটা দক্ষ। পরিবর্ত হিসেবে নামবেন আশিক কুরুনিয়ান। ফলে বাগানের মাঝমাঠ কতটা শক্তিশালী তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
অপরদিকে, আমরা যদি ইস্টবেঙ্গলের দিকে দেখে তাহলে দল গঠন অনেকটা দেরিতে শুরু করেছিল লাল-হলুদ শিবির। তবে শেষের দিকে দ্রুততার সঙ্গে তা সমাপ্ত করেছে। তবে দলে একাধিক নতুন প্লেয়ার থাকায় তারা খুব একটা পরীক্ষীত নয় বড় ম্যাচে। ইস্টবেঙ্গলের মাঝমাঠে চমক দেখাতে পারেন স্পেনের সাউল ক্রেসপো। এবারই গলে এসেছেন। একটি ম্যাচে খেলে গোলও করেছেন। তবে প্রথম ডার্বি খেলার চাপ নিয়ে কতটা সফল হতে পারেন তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
মাঝমাঠে ক্রেসপোর পাশে পাবেন শৌভিক চক্রবর্তীকে। ডার্বি খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। লেফট উইয়ে দেখা যাবে মহেশ নাওরেম সিংহকে। দুরন্ত ফর্মে রয়েছেন নাওরেম। ইস্টবেঙ্গলের সাফল্য অনেকটাই নির্ভর করছে নাওরেমের পারফরম্যান্সের উপর। ইস্টবেঙ্গলের রাইট উইয়ে খেলেবেন নন্দকুমারকে। ভারতীয় দলের তরুণ প্রতিভা কেমন পারফর্ম করে সেটাও দেখার। ইস্টবেঙ্গলের সমস্যা হল নতুন দল, মাঝমাঠের প্লেয়াদের মধ্যে কতটা বোঝাপড়া গড়ে উঠেছে তা নিয়ে একটু চিন্তা থেকেই যাচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ Knowledge Story: শুধু এমএস ধোনি নয়, ৭ নম্বর জার্সি পরে খেলেছেন আরও এক ভারতীয় তারকা, বলুন তো কে
এমনিতেই ডুরান্ডে দুটি ম্যাচ খেলে দুটি জয় পেয়েছে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। সাত গোলও করে ফেলেছে সবুজ-মেরুণ ব্রিগেড। অপরদিকে, এক ম্যাচ খেলে ১ পয়েন্ট নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে। এগিয়ে থেকেও ম্যাচ ড্র করে লাল-হলুদ। তবে ডার্বির আগে দুই মাঠ মাঠের শক্তির তুল্য-মূল্য বিচার করলে মোহনবাগানকেই এগিয়ে রাখছেন ফুটবল বিশেষজ্ঞরা।