এই বিলটির লক্ষ্য অনলাইন গেমিংকে নিয়ন্ত্রণ করা এবং অর্থ ভিত্তিক গেমগুলোর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা। যদি সংসদে এই বিল পাস হয়ে যায়, তাহলে সব অর্থ-ভিত্তিক অনলাইন গেম বন্ধ হয়ে যাবে — তা সে স্কিল-ভিত্তিক হোক কিংবা ভাগ্য-ভিত্তিক, উভয় প্রকারেই নিষেধাজ্ঞা জারি হবে।
এই বিলে কী কী নিয়ম আছে?
advertisement
রিয়েল-মানি গেমের ওপর নিষেধাজ্ঞা:
কোনও টাকা-ভিত্তিক গেম অফার করা, পরিচালনা করা বা প্রচার করা— বেআইনি বলে বিবেচিত হবে। তবে অনলাইনে এসব গেম খেলা ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না।
শাস্তি ও জরিমানা:
যদি কেউ টাকা দিয়ে খেলা যায় এমন গেম অফার করে বা তার বিজ্ঞাপন দেয়, তা হলে তাদের ৩ বছর পর্যন্ত জেল এবং ১ কোটি টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে। যারা এই ধরনের বিজ্ঞাপন চালাবে তাদের ২ বছর পর্যন্ত জেল এবং ৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে।
আরও পড়ুন- ১৮ বছর ধরে চলছে, সেই আইপিএলের দিন শেষ! এমন এক কাণ্ড ঘটল, বিপদে কোটিপতি লিগ!
ই-স্পোর্টসকে উৎসাহ:
পাবজি ও ফ্রি ফায়ারের মতো ই-স্পোর্টস এবং সোশ্যাল গেমগুলিকে উৎসাহিত করা হবে। কারণ এই গেমগুলিতে অর্থের লেনদেন নেই, তাই এগুলোকে সমর্থন দেওয়া হবে।
সরকারের মতে, রিয়েল-মানি অনলাইন গেমিং-এর কারণে মানুষ মানসিক এবং আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অনেকেই এই ধরনের গেমের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়েছেন, এমনকী নিজের সঞ্চয় করা অর্থ পর্যন্ত হারিয়ে ফেলেছেন। কিছু ক্ষেত্রে আত্মহত্যার ঘটনাও সামনে এসেছে।
এছাড়াও, মানি লন্ডারিং এবং জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত উদ্বেগও রয়েছে। এই কারণেই সরকার এই বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নিতে চাইছে।ভারতে অনলাইন গেমিং মার্কেট বর্তমানে প্রায় ৩২,০০০ কোটি টাকা মূল্যের। এর মধ্যে ৮৬% আয় রিয়েল-মানি গেম থেকে আসে।
২০২৯ সালের মধ্যে এই বাজারের ৮০,০০০ কোটি টাকা পর্যন্ত পৌঁছানোর আশা ছিল।
এই নিষেধাজ্ঞার ফলে ড্রিম ১১, গেমস 24×7, উইনজো, গেমস্ক্রাফ্ট-এর মতো বড় বড় কোম্পানিগুলি বিপদে পড়তে পারে। ক্রিকেট বা অন্যান্য খেলাধুলার ক্ষেত্রে এমন অনেক অ্যাপ আছে, যেখানে টাকা লাগিয়ে নিজের ফ্যান্টাসি টিম বানাতে হয়।
বিলে স্পষ্ট বলা হয়েছে, যে কোনো ধরনের টাকা লেনদেন (ট্রান্স্যাকশন) যুক্ত অ্যাপস বন্ধ করা হবে।