ইউসোবিও, ফিগোরা যা করতে পারেননি, প্যারিস থেকে পর্তুগিজ ফুটবলে সেই ইতিহাস তৈরি করলেন সিআর সেভেন। আটের দশকে বাংলা সিনেমার একটা চিরাচরিত ধারা ছিল। যেখানে বাবা-মা মারা যাওয়ার পর বাড়ির বড় ছেলেকেই সবকিছু সামলাতে হত। সেই ছিল সংসারের একমাত্র রোজগেরে। এবারের ইউরো খেলতে আসা পর্তুগাল দলে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর ভূমিকাটা অনেকটা এমনই ছিল। তিনি গোল করলে দেশ জিতবে, তিনি গোল না করলে আটকে যাবে।
advertisement
প্যারিসের ফাইনালের আগে এই ছবিটা দেখতেই অভ্যস্থ ছিল লিসবন। কিন্তু ম্যাচের ছ'মিনিটের মাথায় পায়েতের সঙ্গে ঠোকাঠুকিতে রোনাল্ডোর আকুতি ভরা মুখটা দেখতে চায়নি গোটা দেশ। দেখতে চায়নি ২৪ মিনিটের মাথায় নায়কের মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার ছবিটা। তিনি অবশ্য ফিরে এলেন। এলেন ৯০ মিনিট পর। গোটা অতিরিক্ত সময় ঠায় দাঁড়িয়ে রইলেন কোচ ফার্নান্দো স্যান্টোসের পাশে। কখনও আবার নিজেই সাইড লাইনের ধারে গিয়ে পেপ-টক দিলেন ন্যানি, এডারদের। কারণ, তিনিও জানেন এই সংসারে সেই একমাত্র রোজগেরে।
কতটা পথ হবে প্যারিস থেকে বুয়েনস আয়ার্স। ব্যবধানটা মাত্র ১৪ দিনের। একজন পেনাল্টি নষ্ট করে দেশকে গুডবাই করেছেন। অন্যজন, না খেলার যন্ত্রণা পুষিয়ে দিলেন কাপ জয়ের নেতৃত্বে। লিসবন প্রহর গুনছে। একবার কাপ হাতে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোকে দেখার জন্য। ইউসোবিও থেকে ফিগো, গত ৫০ বছরে যা পারেননি, সিনেমার শহর প্যারিস থেকে সেই কাজটাই করলেন গোটা পর্তুগালের মহানায়ক ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো।