গত বছর নভেম্বরে সোশ্যাল মিডিয়ায় টেনিসের ডবলসে বিশ্বের প্রাক্তন এক নম্বর তারকা যৌন হায়রানির অভিযোগ করেছিলেন চিনের প্রাক্তন ভাইস প্রিমিয়ার ঝাং গাওলির বিপক্ষে। তিনি জানিয়েছিলেন, এক বছরের সম্পর্কে ঝাং গাওলি তাঁকে যৌনক্রিয়ায় অংশ নিতে বাধ্য করে ছিলেন। পেং শুয়াইয়ের করা এই পোস্ট ভাইরাল হয়ে গেলে সন্তর্পনে তা মুছে ফেলেন পেং এবং তার পর তিন সপ্তাহ তাঁর দেখা পাওয়া যায়নি জনসাধরণের মধ্য়ে।
advertisement
পাশাপাশি পেং শুয়াইয়ের কোনও খোঁজ দিতে পারেননি তাঁর কাছের মানুষেরাও। প্রায় তিন সপ্তাহ পর বেশ কিছু ইভেন্টে ফের দেখা যায় পেং শুয়াইকে। ডিসেম্বরে একটি ইভেন্টে এসে নিজের করা ওই পোস্টে যৌন হেনস্থার কথা তিনি যে লিখেছিলেন সেটাই অস্বীকার করেন পেং। ওই ইভেন্টে এসে ফরাসি স্পোর্টস ডেইলি এল'ইকুইপকে পেং শুয়াই বলেছেন, আমি কখনও বলিনি কেউ আমায় কোনও ভাবে যৌন হেনস্থা করেছে।
সেখানেই তিনি জানিয়েছিলেন ওয়েইবো-তে করা তাঁর সেই পোস্ট তিনি নিজেই মুছে ফেলেছিলেন। টুইটারের মতোই প্ল্যাটফর্ম হল ওয়েবো। চিন নিজেদের দেশের নাগরিকদের জন্য এই প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছে। প্রথমে মনে করা হয়েছিল চিনের সরকার যারা নিজেদের কোনও রকম খারাপ শুনতে গড়রাজি তারাই এই পোস্ট ডিলিট করে দিয়েছিল।
ডিসেম্বরে পেং শুয়াই নিজের তোলা অভিযোগ নিজেই অস্বীকার করলেও তাঁর বয়ানে সন্তুষ্ট ছিল না মহিলা টেনিস অ্যাসোসিয়েশন। বরং তাকে ভয় দেখিয়ে মুখ বন্ধের চেষ্টা হচ্ছে এমনটাই বিশ্বাস ছিল টেনিস অ্যাসোসিয়েশনের। আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির প্রধান থমাস বাক পর্যন্ত পেং শুয়াইয়ের ব্যাপারটা নিয়ে সন্দিহান ছিলেন।
তবে ফরাসি সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় এই মহিলা টেনিস তারকার পেছনে উপস্থিত ছিলেন চিনের অলিম্পিক কমিটির চিফ অফ স্টাফ ওয়াং কান। অর্থাৎ টেনিস তারকা ওপর যে জিনপিং সরকারের নজরদারি রয়েছে সেটা পরিষ্কার।