টোকিও প্যারালিম্পিকে (Tokyo Paralympics) মহিলাদের টেবিল টেনিস সিঙ্গলসের ফাইনালে উঠে ভাবিনা প্যাটেল দেশের জন্য রুপোর পদক নিশ্চিত করেছিলেন আগেই। রবিবারের ফাইনাল জিতে প্রতিযোগিতায় দেশের সোনার মুখ দেখাতে পারেন কিনা, সেদিকে তাকিয়ে ছিলেন ক্রীড়াপ্রেমী। সে আশা পূরণ না হলেও প্যারালিম্পিকের (Tokyo Paralympics) টেবিল টেনিস ইভেন্ট থেকে দেশের হাতে প্রথম পদক তুলে দেওয়া ভাবিনার (Bhavina Patel) গর্বে গর্বিত তাঁর পরিবার। ঘরের মেয়ের ঘরে ফেরার অপেক্ষায় এখন গুজরাতের মেহসানা।
advertisement
৩৪ বছরের ভাবিনা প্যাটেল এই প্রথমবার প্যারালিম্পিকের মঞ্চে পৌঁছেই ইতিহাস রচনা করেছেন। টোকিও গেমসে মহিলাদের সিঙ্গলস ক্লাস ফোর ইভেন্ট দ্বিতীয় স্থানাধিকারীর পোডিয়ামে দাঁড়িয়ে তিনি পরিবারের মাথা উঁচু করেছেন বলে বক্তব্য প্যারা অ্যাথলিটের বাবা হাসমুখভাই প্যাটেলের। জানিয়েছেন মেয়ের অপেক্ষায় বসে রয়েছেন তাঁরা। শহরে ফিরলেই রাজকীয় অভ্যর্থনা সহকারে ভাবিনাকে ঘরে তোলা হবে বলেও জানিয়েছেন বাবা হাসমুখভাই। কন্যার সাফল্যে আবেগ ধরে রাখতে না পারা মা গর্বে কেঁদেই ফেলেন। মেয়ে যা করে দেখিয়েছে তাকে 'ডিভাইন' অর্থাৎ স্বর্গীয় আখ্যা দিয়েছেন বাবা।
অন্যদিকে টোকিও প্যারালিম্পিক থেকে প্রাপ্ত পদক দেশকে উৎসর্গ করেছেন ভাবিনা প্যাটেল। সঙ্গে এও জানাতে ভোলেননি যে রবিবার তিনি নিজের সেরা ফর্মে ছিলেন না। ম্যাচ শুরুর আগে তিনি মানসিক চাপে ভুগছিলেন বলেও জানিয়েছেন ভাবিনা। তাঁর কথায়, ফাইনালে তিনি নিজের গেমপ্ল্যান অনুযায়ী খেলতে পারেননি। তবে আগামী দিনে দেশের হয়ে নিজের সেরাটা উজাড় করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন প্যারা টেবিল টেনিস তারকা।
মহিলাদের সিঙ্গলস ক্লাস ফোর ইভেন্টের সেমিফাইনালে চিনের ঝাং মিয়াওয়ের বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছিলেন ভারতের ভাবিনা। যে ম্যাচ ৭-১১, ১১-৭, ১১-৪, ৯-১১, ১১-৮ পয়েন্টে জিতে তিনি দেশের জন্য রুপো নিশ্চিত করেছিলেন। কোয়ার্টার ফাইনালে রিও প্যারালিম্পিকে সোনাজয়ী সার্বিয়ার বোরিস্লোভা পেরিচকে হারিয়ে দেশের জন্য পদক নিশ্চিত করেও ইতিহাস রচনা করেছিলেন। ওই ম্যাচ ১১-৫, ১১-৬, ১১-৭ ব্যবধানে জিতেছিলেন ভাবিনা।