গত দুই-তিন মরশুম ধরে ধারাবাহিকভাবে ভাল বোলিং করে গিয়েছেন। রনজিতে বাংলার ফাইনাল-সেমিফাইনাল খেলার পিছনে তাঁর ভালরকম অবদান রয়েছে। আর সবকিছু ঠিকঠাক চললে মুকেশ কুমারকে (Mukesh Kuman) এবার টেস্ট টিমে দেখা যেতে পারে। বোর্ড সূত্রে অন্তত তেমনই খবর। নির্বাচকদের নজরে ভালরকমভাবে চলে এসেছেন বাংলার তরুণ এই পেসার।
নিউজিল্যান্ড এ-র বিরুদ্ধে গোটা সিরিজেই দারুণ বোলিং করেছেন। সিরিজে সবচেয়ে বেশি উইকেটও নিয়েছেন বঙ্গ পেসার। বাংলাদেশ সফরেই মুকেশের কাছে সুযোগটা চলে আসতে পারে। যদিও পরে মুকেশকে নেওয়া হয়নি বাংলাদেশ সফরে। ছেলের একটা সময় হাড়ের রোগে ক্রিকেট কেরিয়ারই ঘোরতর অনিশ্চয়তার মুখে পড়ে গিয়েছিল, যে ছেলের একটা সময় একজোড়া জুতো ছিল না, তার এত দূর আসা বিহ্বলতা দাবি করে বই কী!
advertisement
মুকেশের বাবা প্রয়াত কাশীনাথ সিং পেশায় ট্যাক্সিচালক ছিলেন।বছর আটেক আগে ভিশন ২০২০-র এক শিবিরে আবির্ভাব হয় মুকেশের। তখন ভিশনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন প্রাক্তন বাংলা পেসার রণদেব বসু। বলতে গেলে, মুকেশের উত্থান তাঁরই হাত ধরে। শোনা যায়, ভিশনের ট্রায়ালে মুকেশের নাম ধরে ডাকাডাকি চলছে যখন, তখন তিনি উধাও হয়ে গিয়েছিলেন।
পরে এসে জানতে পারেন, ট্রায়াল শেষ। অনেক বলাটলার পর রণদেব তাঁর ট্রায়াল নেন, এবং বোলিং দেখামাত্র তাঁর নাম প্রস্তাব করেন ভিশনের তৎকালীন পেস বোলিং কোচ ওয়াকার ইউনিসকে! আজ অভাবের সংসার ছেড়ে আইপিএলের হাই প্রোফাইল জীবনে ঢুকে পড়লেন মুকেশ। বিহারের গোপালগঞ্জে জন্ম হলেও বাংলাতেই খেলছেন শেষ ছয় সাত বছর ধরে। মহম্মদ শামির মতোই তার গল্প অনেকটা।