এনসিএর গুরুত্ব সব সময় অপরিসীম।
আইপিএল নিলাম শেষ হতেই আজ আরও একটা বড় কাজ সেরে ফেলল সৌরভ গঙ্গোপাধ্য়ায়ের নেতৃত্বাধীন বিসিসিআই। শুরু হয়ে গেল বেঙ্গালুরুতে ন্যাশনাল ক্রিকেট আকাদেমিকে ঢেলে সাজানোর কাজ। ১৪ ফেব্রুয়ারি ভালোবাসার দিনেই শিলান্যাস হয়ে গেল নতুন এনসিএ-র। হল পুজোপাঠ। শাবল হাতে দেখা গেল বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও এনসিএ ডিরেক্টর ভিভিএস লক্ষ্মণকে। সচিব জয় শাহ, কোষাধ্যক্ষ ঠাকুর অরুণ সিং ধরলেন কোদাল!
advertisement
বিসিসিআই সভাপতি হওয়ার পর থেকেই সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বিশেষ জোর দেন ন্যাশনাল ক্রিকেট আকাদেমির উপর। ভারতীয় ক্রিকেটের সাপ্লাই লাইন সঠিক দিশায় যাতে এগোতে পারে সেজন্য দায়িত্ব দিয়েছিলেন রাহুল দ্রাবিড়কে। দ্রাবিড় প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করেন এনসিএ-তে। তিনি ভারতীয় দলের কোচ হওয়ার পর এনসিএ-র ডিরেক্টর পদে নিয়ে আসা হয়েছে ভিভিএস লক্ষ্মণকে।
ভারতীয় দলের ক্রিকেটাররা চোট পেলে তাঁদের সুস্থ করে তোলার প্রক্রিয়া চলে এনসিএতে। এ ছাড়া পুরুষ ও মহিলা ক্রিকেটারা এখানে প্রশিক্ষিত হন। কোচিং কোর্স থেকে শুরু করে ভারতীয় ক্রিকেটের খুঁটিনাটি বিষয়ের সঙ্গে জড়িয়ে এই এনসিএ। বেঙ্গালুরুতে সেই এনসিএ-র পরিকাঠামোকে ঢেলে সাজাতেও উদ্যোগ নেয় বিসিসিআই, যা আজ আরেকটা ধাপ এগিয়ে গেল।
নতুন এনসিএ-র ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে জয় শাহ টুইটারে লেখেন, বিসিসিআইয়ের সকলে একযোগে ক্রিকেটের বাস্তুতন্ত্রকে সঠিক দিশায় এগিয়ে নিয়ে যেতে বদ্ধপরিকর। এনসিএ-তে প্রতিভা বিকাশের সহায়ক পরিকাঠামো গড়ে তুলতেই এই সেন্টার অব এক্সেলেন্স। কর্নাটক ইন্ডাস্ট্রিয়াল এরিয়াজ ডেভেলপমেন্ট বোর্ড বা কেআইএডিবি-র কাছ থেকে ৫০ কোটি টাকার বিনিময়ে ৯৯ বছরের লিজে জমি পেয়েছিল বিসিসিআই, অবশ্যই কর্নাটক সরকারের সহযোগিতায়।
২০২৪ সালের মধ্যে প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষ হওয়ার কথা। বিশ্বের সেরা ক্রিকেট একাডেমি হিসেবে ধরা হয় এই এনসিএ মডেলকে। তবে বিসিসিআই আগামী দিনে আরও উন্নতি করতে চায়।