কলকাতা: আগের তিন ম্যাচেই হেরেছিলেন নীতীশ রানা। হায়দারাবাদ, মুম্বই এবং দিল্লি হারের হ্যাটট্রিক করেছিল কেকেআর। তাই আজ ঝড়ের মাঠে ইডেনে সুপার সানডেতে শাহরুখ খানের দল জয়ের রাস্তায় ফিরতে পারে কিনা সেটাই দেখার ছিল। লিটন এবং মনদীপের বদলে উইজ়া এবং জগদীশনকে দলে রেখেছিল নাইট রাইডার্স। টসে জিতে ধোনির দলকে ব্যাটিং করতে পাঠান নীতিশ।
advertisement
কিন্তু দুই ওপেনার কনওয়ে এবং ঋতুরাজ মিলে দুর্ধর্ষ শুরু করেন। ব্যক্তিগত ৩৫ রান করে আউট হলেন ঋতুরাজ। সুযশের বল বুঝতেই পারলেন না। গুগলিতে বোল্ড হয়ে গেলেন। এরপর রাহানেকেও প্রায় এলবি করে দিয়েছিলেন সুয়াশ। আম্পেয়ার কলের জন্য বেঁচে গেলেন। বরুণের বলে ছয় মারতে গিয়ে বাউন্ডারির ধারে উইজ়ার হাতে ক্যাচ দিলেন কনওয়ে (৫৬)।
এরপর শিবম এবং রাহানে মিলে কেকেআর বোলারদের ধোলাই করা বন্ধ করলেন না। উমেশ, উইজা প্রত্যেকেই মার খেলেন। ইডেনে রাজত্ব করলেন চেন্নাইয়ের ব্যাটসম্যানরা। যেখানে ইচ্ছে সেখানে মারলেন। একমাত্র সুয়াশ ছাড়া কোনও বোলারকে পাল্টা লড়াই দিতে দেখা গেল না।
প্রায় ছেলে খেলা করে বাউন্ডারি এবং ওভার বাউন্ডারি মারছিলেন শিবম, রাহানেরা। অধিনায়ক নীতিশ রানাকেও মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেল। যেন বুঝতেই পারছিলেন না কি করবেন। বল পড়ার আগেই উড়ে যাচ্ছিল গ্যালারিতে। ২৪ বলে ৫০ করে ফেললেন রাহানে। অসাধারণ ছন্দে আছেন তিনি। রাহানের এমন ছন্দময় ব্যাটিং চোখের পক্ষে আরামদায়ক।
এদিন যেন রুদ্রমূর্তি ধারণ করেছিলেন রাহানে। তার এই অবতার নতুন করে ভাবতে বাধ্য করতে পারে জাতীয় নির্বাচকদের। শেষ দুটি বলের জন্য নেমেছিলেন ধোনি। দু রান করলেন তিনি। ২৯ বলে ৭১ রানে অপরাজিত রইলেন রাহানে।